আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in সাওম (Fasting) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি সাবালক হওয়ার পর থেকে দুই কিংবা তিন বছর, "ফজরের আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত সেহেরির সময় থাকে" এই কথা মেনে সেহরি করেছি। এখন আমার জানামতে খুব সম্ভবত এই ব্যাপারটি সাওম এর নিয়ম এর পরিপন্থী । এক্ষেত্রে আমাকে এখন কি কাফফারা আদায় করতে হবে?

আর একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি যদি এই কথা মেনে জীবনের অনেকটা সময় সেহরি আদায় করে থাকেন এবং সাওম পালন করে থাকেন তবে তাকে কি কাফফারা আদায় করতে হবে?

2। ওযু করার সময় অজুর পানি ছিটকে গায়ে লাগার ব্যাপারে কি কোনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে? অর্থাৎ করার সময় অজুর পানি এসে গায়ে ছিটকে লাগ্লে গুনাহ হয় এরকম কোন ব্যাপার রয়েছে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)




বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মাহে রমজানে শুরু থেকেই রোযার নিয়ত না করা এবং রোযা না রাখা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।গোনাহের কাজ।এর জন্য অবশ্যই আল্লাহর নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে।এবং একটার পরিবর্তে একটা রোযাকে কা'যা করতে হবে।এক্ষেত্রে কাফফারা আসবে না।তবে যদি কেউ রোযার নিয়ত করার পর রোযাকে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে এক্ষেত্রে কা'যা র সাথে সাথে কাফফারাও আদায় করতে হবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৪১০)  

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1056

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি সঠিক সময়ে সেহরি খাননি,সেজন্য আপনার রোযা হয়নি।তবে এজন্য আপনাকে কাফফারা দিতে হবে না,বরং শুধুমাত্র কাযা করে নিলেই চলবে।





(২)

মা'য়ে মুস্তা'মাল তথা ব্যবহৃত পানি দ্বারা ওজু করা জায়েয হবে না।কেননা গ্রহণযোগ্য এবং পছন্দনীয় মতানুসারে মা'য়ে মুস্তা'মাল নিজে পবিত্র তবে অন্য কাউকে পবিত্র করতে পারে না।

কিন্তু যদি কোথাও মা'য়ে মুস্তা'মাল এবং গায়রে মুস্তা'মাল মিলিত থাকে এবং গায়রে মুস্তা'মাল এর পরিমাণ বেশী থাকে তবে উক্ত পানি দ্বারা ওজু-গোসল জায়েয হবে।

কখন পানি মা'য়ে মুস্তা'মাল বা ব্যবহৃত পানি হিসেবে গণ্য হবে?
এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যাবে যে,যখন পানি শরীরের অঙ্গের সাথে মিলিত হয়ে আবার তা টপকে টপকে পড়ে যাবে তখনই সেটা ব্যবহৃত পানি হিসেবে গণ্য হবে।
সুতরাং যখন কোনো পাত্রে এক আঙ্গুল বা কয়েক আঙ্গুল ডুবে যাবে তখন এর দ্বারা সারা পাত্র ব্যবহৃত হবে না।বরং ঐ পানি-ই ব্যবহৃত হিসেবে গণ্য হবে যা আঙ্গুলের সাথে লেগে তারপর টপকে পড়ে গিয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট সব পানি অব্যবহৃত হিসেবে-ই রয়ে যাবে।
এখানে যেহেতু আঙ্গুল সমূহের সাথে লেগে তারপর টপকে টপকে পড়ে যাওয়া পানি পাত্রের অবশিষ্ট পানির তুলনায় নিতান্তই কম। তাই পাত্রের পানি পবিত্রই রয়ে যাবে।উক্ত পানি দ্বারা ওজু গোসল করা যাবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/১২২
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৪০


বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/807


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 256 views
0 votes
1 answer 219 views
...