বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কখন তায়াম্মুম করা জায়েয হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে আমরা www.ifatwa.info/938 নং ফাতাওয়া বলেছি যে,
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করতে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)
(জমিন ছাড়া) মাটি জাতীয় অন্যান্য জিনিসের উপরও তায়াম্মুম করা দুরুস্ত আছে; যেমন, মাটি, বালু, পাথর, বিলাতী মাটি, পাথর চুন, হরিতাল, সুরমা, গেরুমাটি ইত্যাদি। মাটি জাতীয় জিনিস না হইলে উহার উপর তায়াম্মুম জায়েয নহে; যেমন- সোনা, রূপা, রাং, গেহু, কাঠ, কাপড় এবং অন্যান্য শস্য ইত্যাদি। কিন্তু যদি এই সব জিনিসের উপর মাটি জমিয়া থাকে, তবে অবশ্য মাটির কারণে ইহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত হইবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি এখনও জুনুবি হালতে আছেন।আপনার উচিৎ ছিলো তায়াম্মুম করা। আপনি এখন তায়াম্মুম করে পবিত্র হতে পারবেন।
তায়াম্মুম এর ফরয তিনটি যথা-
(১)নিয়ত করা
(২)দুই হাত পবিত্র মাটিতে মেরে/লাগিয়ে তার পর হাতকে হাতকে ঝাটকা দিয়ে বালু ঝেড়ে সমস্ত মুখ মাসেহ
(৩)এইভাবে দুনু হাতকে মিটিতে মেরে অতঃপর ঝাটকা মেরে কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।
এই তিনটি বিষয় খেয়াল করো তায়াম্মুম করলেই তায়াম্মুম হয়ে যাবে।