বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
সব রকম লটারী হারামের অন্তর্ভুক্ত না।বরং ঐ সমস্ত লটারী-ই হারামের অন্তর্ভুক্ত, যা দ্বারা কোনো হক্ব বা যোগ্যতা কিংবা মালিকানাকে নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু যদি পূর্ব থেকেই হক্ব বা অধিকার প্রতিষ্টিত থাকে।কিন্তু উভয় সমান সমান হওয়ার ধরুণ কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া যাচ্ছেনা-এমতাবস্তায় একজনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য লটারির মাধ্যমে তাকে নির্ধারণ করা হয়,তাহলে এ প্রকার লটারী অবৈধ হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1505
কিন্তু আমাদের সমাজে সাধারণত কুপন কেটে যে লটারী দেয়া হয়,সেটা নিম্নোক্ত আয়াতের অধীনে থাকার ধরুণ পরিস্কার হারাম বলেই সাব্যস্ত হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮُ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮُ ﻭَﺍﻷَﻧﺼَﺎﺏُ ﻭَﺍﻷَﺯْﻻَﻡُ ﺭِﺟْﺲٌ ﻣِّﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻓَﺎﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)
এবং প্রাইজবন্ড ও হারাম।কেননা এখানে ঋণের বিপরিতে প্রাইজবন্ড দেয়া হচ্ছে, যদিও লটারীর মাধ্যমে দেয়া হোক না কেন? সুতরাং ঋণের বিপরিতে পুরুস্কার যাকে প্রাইজবন্ড বলা হয়,সেটা হারাম হিসেবেই সাব্যস্ত করা হবে।
কারো কাছে প্রাইজবন্ডের কোনো কুপন থাকলে, তিনি তারাতারি সেটাকে টাকায় রূপান্তরিত করে নেবেন।টাকায় রূপান্তরিত করার পূর্বে যদি কোনো পুরুস্কার লেগে যায়,তাহলে উক্ত পুরুস্কারকে গ্রহণ করা যাবে না।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমাদের দেশে প্রচলিত দশ টাকা/বিশ টাকার মূল্যের যে লটারী কুপুনেরর প্রচলন রয়েছে,এগুলো পরিস্কার হারাম।প্রাইজবন্ডও হারাম।চায় লটারী বা প্রাইজবন্ড গুলো একা একা কেউ ক্রয় করুক বা অনেকজন মিলে ক্রয় করুক।সর্বাবস্থায় হারামই হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.