আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
লাস্ট কিছুদিন হলো ই কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইভ্যালি, আলিজা মার্ট, ধামাকা, সহ আরো কিছু ই কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বাজার মুল্যের চেয়ে অনেক কম মুল্যে পন্য দিয়ে থাকে(কোন কোন প্রডাক্টে ৫০% এর চেয়ও বেশী কম দামে সেল করে ।
শর্ত থাকে পেমেন্ট করার পরে একটা নির্দিষ্ট টাইম পরে পন্য দিবে। সেটা ক্ষেত্র বিশেষ ৪-৫ মাস বা তার চেয়েও বেশী টাইম নেয়। আবার পন্য ডেলিভারির সময়ে যদি স্টক না থাকে তাহলে রিফান্ড করে পন্যের অরিজিনাল মুল্য। মানে আমি যদি ১০ হাজার টাকা মুল্যের কোন প্রডাক্ট অফারে ৫০০০ দিয়ে কিনি। একটা সময় গিয়ে তারা আমাকে ১০ হাজার টাকার পন্য দিবে, পন্য দিতে না পারলে ১০টাকা রিফান্ড করবে।
আমরা যারা ইসলামী মাইন্ডেড, অর্থাৎ সুদ ঘুস থেকে নিজেদের দূরে রাখার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা যদি এই সকল সাইট থেকে এসব শর্তে পন্য কিনি এটা কি সুদের ভিতর পড়বে না?
ইসলামিক ব্যাংকে টাকা রাখলে একটা নির্দিষ্ট % এ লভ্যাংশ জমা হয়, ডিপিএস করলে একটা লং টাইম পরে সেটা ডাবল  হয়। কিন্তু এরা তো মাত্র ৪-৫ মাসে আপনাকে ডাবল বা ডাবলের ও বেশী দিচ্ছে।
কেউ কেউ দেখলাম এখান থেকে পন্য কিনে অন্য যায়গায় অরিজিনাল দামে সেল করছেন আর নিজেকে শান্তনা দিচ্ছেন বিজনেস করছেন তিনি। আসলে এই বিজনেস টা কি হালাল হবে? আর যদি কেউ নিজের ব্যবহারের জন্য কিনে সেটাও কি হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি প্রথমে টাকা দিচ্ছেন।১/২মাস পর প্রডাক্ট হাতে পাবেন।এটার নাম হল,বয়ে সালাম।অর্থাৎ টাকা আগে দেওয়া এবং মাল পরবর্তীতে হস্তগত হওয়া।বয়ে সালাম জায়েয।
أما إذا كان المبيع مما ينضبط بالوصف ، ويغلب على الظن وجوده في وقت التسليم ، فتبايعا على أن يوفر له المبيع في موعده ، فهذا هو بيع السلم ، وهو جائز بالكتاب والسنة وعلى ذلك عامة علماء المسلمين .

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا تَدَايَنْتُمْ بِدَيْنٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَاكْتُبُوهُ
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না।(সূরা বাকারা-২৮২)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال : " قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ وَهُمْ يُسْلِفُونَ بِالتَّمْرِ السَّنَتَيْنِ وَالثَّلاَثَ، فَقَالَ: ( مَنْ أَسْلَفَ فِي شَيْءٍ، فَفِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ، وَوَزْنٍ مَعْلُومٍ، إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ)
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আসেন তখন মদীনাবাসী ফলে দু’ ও তিন বছরের মেয়াদি সালাম ব্যবসা করত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন ব্যক্তি সালাম ব্যবসা করলে সে যেন নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে নির্দিষ্ট মেয়াদে সালাম করে।(সহীহ বোখারী-২২৪০,সহীহ মুসলিম-৪২০২)

ইবনে হজর মক্কী রাহ বলেন,
"واتفق العلماء على مشروعيته إلا ما حكي عن ابن المسيب "
ইবনুল মুসাইয়্যিব রাহ ব্যতীত সমস্ত উলামায়ে কেরাম, বয়ে সালাম জায়েয হওয়ার বিষয়ে একমত।(ফাতহুল বারী-৭/৭৬)

পশ্নে উল্লিখিত সূরত হল,ক্রয়বিক্রয়ের প্রসিদ্ধ পদ্ধতি ব'য়ে সালাম।তথা মূল্যকে পূর্বে দিয়ে দেয়া।এবং পরবর্তীতে মালকে হস্তগত করা।এ পদ্ধতির ক্রয়বিক্রয় শরীয়তে অনুমোদিত।(ফাতাওয়া মাহমুদিয়্যাহ-বয়ে সালাম-১৬/২০৯)

সুতরাং এভাবে ব্যবসা করা যাবে। এবং অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করা যাবে।এভাবে অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করলে  গ্রহণকারী সে মূল্যর মালিক হয়ে যাবে।উক্ত গৃহীত মূল্য দ্বারা যদি কোনো অবৈধ কাজ করা হয়,তাহলে সেই অবৈধ কাজের দায়ভার সেই গ্রহীতা বিক্রেতা ব্যক্তির-ই হবে।ক্রেতা বা মূল্যদান কারী ব্যক্তির এতে কোনো গোনাহ হবে না। ইভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1536

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ইভ্যালি বা এ জাতীয় সংস্থা থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারেন।তবে পণ্য আপনার হস্তগত হওয়ার পূর্বে সেই পণ্যকে ভিন্ন কোথাও বিক্রি করতে পারবেন না।এবং পণ্য গ্রহণ না করে,পণ্যর বাজার মূল্যর চেক গ্রহণ করতেও পারবেন না,কেননা সেটা সুদ হয়ে যাবে।আল্লাহ আমাদেরকে সহায়তা করুক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...