আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
620 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)

(আল্লাহর ওয়াস্তে ধৈর্য করে পড়ুন)

আমার কয়েকটি সমস্যা?

১. আমি ওয়াজ শুনার সময় ভালো কথা (উদাহরনস্বরুপ ধরুন: মাওলানা সাহেব পর্দার পক্ষে কথা বললেন, দাড়ির রাখার পক্ষে কথা বললেন) এরকম ফরয ওয়াজিব সুন্নাহ্ নফল যখন বলবেন,  প্রায় সময় শোনার পর আমার হাসি পায়। আমি অন্তর থেকে আসলে হাসতে চাই না। কিন্তু হাসি আসার ফলে আমি ঠোট মেলে অনেক সময় হেসে ফেলি। কিন্তু ওই হাসি থামাবার জন্য চেষ্টা করি। মানে একদিকএ হাসি অন্যদিকে হাসি থামানোর চেষ্টা করি।  এই মাসে তো শয়তানের ওয়াসওয়াসা নাই, তাহলে আমার মনের এমতাবস্ত্থআয় আমার ঈমান ভংগ হবে কি?

২.আমি বালেগ হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ প্রথম যখন স্বপ্নদোষ হয় (বয়স ১৫), তখন থেকে ফরজ  গোসলে এমন এমন এমন সময় লাগা শুরু হয় মানে ২-৩ ঘন্টা গোসলে যায়। আজ ৪ বছর থেকে এমন অবস্থায় আছি।(বর্তমান বয়স ১৯+)

আমি ফরজ গোসলের সুন্নাহ তরিকা জানি। এই ৩ ঘন্টা গোসলের জন্য মা-বাবার অনেক বকা খাই। বেতের বাড়ি পর্যন্ত খেয়েছি। কিন্তু আমি আসলেই নিজ থেকে এই অভ্যাস যেন ছাড়তেই পারি না। ১০০০ লিটার পুরো পানির টাংকি শেষ হয়, তারপরেও আমার নাপাক কাপড় ধোয়া এবং ফরজ গোসল শেষ হয় না। আর এটাও জানি এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। কিন্তু বর্তমান রমদান মাসে শয়তান নেই। তারপরেও ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মতো গোসলে সময় লাগে। 

শুধু গোসলেই না, শৌচা করার সময় ৩০ মিনিট অন্তত লাগে। হাতে হালকা পরিমান (১ দিরহাম থেকে বেশী) নাপাকি লাগলে এতে ধোয়াতে অনেক পানি কমছে কম, ৫-৬ লিটার লাগে শুধু কবজি পর্যন্ত হাত ধুইতে।

আমাদের বাথরুমে গোসলে ঢুকার পর এটা মনে হয়।

যখন লজ্জাস্থানের নাপাকি ধুয়ে ফেলি, তখন তা মাটিতে পড়ার সময় ছিটকে গিয়ে

নাপাক কাপড় ধুই (তরল নাপাকি অথবা দৃশ্যমান নাপাকি), তখন ওই নাপাক পানির ছিটা বালতির হাতায় লাগে, কমোডের পা রাখার স্থানে লাগে, আরোও ছোট ছোট ট্যাপে ছিটা পড়ে।

তখন কাপড় ধোয়া শেষে এবং ফরজ গোসল শেষে। বাকি গুলা কমোডের পা রাখার স্থান, ছোট ছোট ট্যাপ, বালতির বাহিরের অংশ, বালতির হাতা,, দেয়ালের অর্ধেক অংশ,  ইত্যাদি ধুতে ধুতে সময়- ও লাগে আমার।

উপরে বর্নিত ২ সমস্যা 

১। ইসলামের কোনো কোনো কথায় হাসি কিন্তু অন্তর থেকে এই হাসির পক্ষে আমি নই। পাশাপাশি হাসি থামানোর চেষ্টা করি। আর যখন হাসি শেষ, তখন মনে করি হয়ত এই হাসির কারনে আমি না জানি কি কাফের হয় গেসি কি? এই সমস্যায় আছি প্রায় ১ বছর থেকে

২। আমার ওযু গোসল হাত ধোয়ায় ইত্যাদি সময় লাগে। এই সমস্যায় আছি ৪ বছর থেকে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)আপনার কথা “আমি অন্তর থেকে আসলে হাসতে চাই না।” একথা দ্বারা বুঝা য়ায় যে, আপনি উক্ত ওয়াজকে নিয়ে উপহাস করছেন না। তাই আপনার ঈমান ভঙ্গ হবে না। হ্যা আপনার জন্য উচিৎ এভাবে হাসি তামাশা কে বন্ধ করা। 

(২) এত সময় ব্যয় করা কখনো উচিৎ না। ব্যক্তিগত কাজে সমস্যা হবে। তাছাড়া পানির অপচয়তো হবেই। সুতরাং শুধুমাত্র ফরয গুলো আদায় করার চেষ্টা করে গোসলকে সমাপ্ত করেবেন। 

এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। যখনই মনে হবে, আপনার মনে নাপাকি বা অপবিত্রতার ওয়াসওয়াসা আসছে, তখনই আপনি আউযুবিল্লাহ পড়ে নিবেন। রজমান মাসে শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকে,

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتْ الشَّيَاطِينُ
তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী-১৮৯৯)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৭৫ ) 

শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকার পরও কেন মানুষ গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, ১১ মাস ব্যপি শয়তান দ্বারা মানুষ প্রতারিত হওয়ার দরুণ সেই প্রতারণার প্রভাবেই রমজান মাসে মানুষ শয়তানের লক্ষ্যর দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে, যদিও এ মাসে শয়তান কোনো প্রকার প্রতারণার দেয় না।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (48 points)
২ নং সমস্যাটা আমারও হয়৷ বাসায় খুব বকা খাই। ১ ঘন্টা লেগে যায়। এটা পুরোটাও ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যা৷ মনে হয়, মগ বা বদনা সব নাপাক হয়ে গেল৷ আর আমার জন্য অন্যরাও না জেনে নাপাক স্পর্শ করবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...