আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
469 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম,
একজন নারী যদি তার husband এবং তার husband এর পরিবারের জন্য পূর্ণ পর্দা পালন করতে না পারে তাহলে গুনাহ কার হবে? নারীর নাকি সেই husband এবং তার পরিবারের? একজন নারীর বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় তেমন কোন মূল্যই নাই যেটা কিনা ইসলাম তাকে দিয়েছে । তার বড় কারণ হচ্ছে সবাই শুধু নামেই মুসলিম। কিন্তুু ইসলামের প্রকৃত নিয়ম আজকের সমাজে কেউ ঠিকমত পালন করে না। আর যে পালন করতে চায় তার জীবন একবারে জাহান্নাম বানিয়ে ছাড়ে। সে মানসিক ভাবে কোন শান্তি পায় না। সারাক্ষণ সেই নারী মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে থাকে। এই সমাজের বেশিরভাগ familyই এমন নারীকে মেনে নিতে চায় না। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন বর্তমান যুগের culture সম্পর্কে। বেশিরভাগই হারামকে হালাল ভাবে। বড় ধরনের গুনাহকে গুনাহ ভাবে না। একজন নারী ইসলামিক কায়দায় জীবন অতিবাহিত করতে চাইলেও পরিবার আর এই সমাজের কারণে পরিপূর্ণ পর্দা maintain করতে পারেনা। সেই নারীর কি হবে? তার অন্তর সবসময় ভীত সন্ত্রস্ত্র থাকে আল্লাহর ভয়ে। কিভাবে সে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে? আল্লাহ কি তার গুনাহ মাফ করে দিবেন। সেই নারী গীবত থেকে দূরে থাকতে চায় কিন্তুু তার পরিবার তার সামনেই গীবত করে। আর বলে আমারা তো আর বাইরের মাুনষকে যেয়ে বলছিনা। নিজেরাা নিজেদের মধ্যে কথা বলছি। অন্য মানুষকে বললেই না গীবত হবে। সে আর কি করতে পারে চুপ করেই তাদের সবরকম কথা শুনতে হয়। আল্লাহ কি তাকে মাফ করবেন? একজন নারী  ভালোভাবে থাকতে চাইলেও এই পরিবার সমাজ তাকে থাকতে দেয় না। এই সমাজে নারীদের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? না নিজের পরিবারে মূল্য পায় না husband এর পরিবারে। Divorce হলেও সমস্যা কেউ তাকে গ্রহণ করতে চায় না। তার গুনাহ কি আল্লাহ মাফ করবেন?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا
তারা আরও বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল।
رَبَّنَا آتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيرًا
হে আমাদের পালনকর্তা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন।( সূরা আহযাব-৬৭-৬৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
াযদি কেউ কারো কথায় কোনো গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে উভয়ই গোনাহের সাজাপ্রাপ্ত হবে। তবে হ্য কেউ যদি কারো প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে নিরোপায় হয়ে তার আদেশ বা নির্দেশমতে কোনো গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে আদেশ দাতারই গোনাহ হবে। এক্ষেত্রে পালনকারী যেহেতু নিরোপায়, তাই তার কোনো গোনাহ হবে না। 

আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর। ( সূরা বাকারা-২৮৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার নিকট পর্দামত জীবন পরিচালিত করার অনেক ত্বরিকা রয়েছে, তাই আপনার জন্য পর্দাকে বিসর্জন দেওয়ার বৈধতা হবে না। আপনি পর্দামত চলার চেষ্টা করার পর যদি স্বামীর বা তার পরিবার থেকে কোনো প্রকার বাধা বা চাপ আসে, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি মা’যুর বলে গণ্য হবে। যথাসাধ্য চেষ্টা করার পর পর্দামত না চলতে পারলে , এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...