আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
777 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম,
মা বাবা যদি ইসলামের সকল শরীয়াহ না মানেন এবং জীবন বাঁচানো ফরজ বলে হারাম income কে হালাল বলেন। তারা আরো বলেন যে তারাও অনেক আলেমদের কথা শোনেন, ইসলামিক programme দেখেন ইত্যাদি। তারা যদি কোন ব্যাংকার ছেলের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে চান তাহলে করণীয় কি হতে পারে? বর্তমান এই যুগে মেয়েদের কথা ঠিক কয়জন মূল্য দেয়? আল্লাহর পথে একজন নারীকে চলতে গেলে আসলে independent হওয়া অনেক জুরুরি তাহলে তার কথায় তারা গুরুত্ব দিক বা না দিক সে ঠিকই কাউকেই আর তোয়াক্কাই করবে না। সে পরিপূর্ণভাবে দীনের পথে চলতে পারবে। শুধুমাত্র পরিবার চালানোর জন্য নয় আজকের এই বেহায়াপূর্ণ সমাজে নিজের পর্দার জন্য যুদ্ধ করা বিশেষ করে বাইরের পর্দা সবাই মানে কিন্তুু ঘরের পর্দা কয়জন মানে। একজন নারী মানতে চাইলেও শশুর বাড়ির লোকজন বলবে নতুন পর্দাওলী আসছে আমরা তো আর যেন পর্দা করি নাই, এটা, সেটা ইত্যাদি ইত্যাদি। মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে নবীর যুগে যদি চলে যেতে পারতাম। একমাত্র তিনিই নারীদের এই অবস্থা থেকে মুক্ত করেছিলেন। সাহাবীদের যুগেও নারীদের অনেক মর্যাদা দেয়াা হতো। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। সমাজের এই সকল অনিয়ম থেকে একমাত্র একজন independent নারীই নিজের মতামত ভালো করে রাখতে পারে। নতুবা এখন যেই যুগ এসেছে হারামকেও সবাই হালাল বলে চালিয়ে দেয়। একজন husband যদি ব্যাংকার হয় তবে তো তার সম্পূর্ন income ই হারাম। বিয়ের পর সেই নারী কি করে তার husband এর অর্থ ব্যয় করবে। তার জীবনের শখ আল্লাদ তো অখানেই শেষ। এমন কোন আমল কি আছে যার মাধ্যমে নেক husband পাওয়া যায় এবং খারাপ কোন জীবন সাথী পাওয়া থেকে দূরে থাকা যায়। এই যুগে একজন নেক husband পওয়াই ভাগ্যের ব্যাপার। শুধুমাত্র নামাজ কালাম পড়লেই কেউ দীনদার হয়ে যায় না। দীনদার সেই ব্যক্তি যে ভালোভাবে বুঝে আল্লাহর ফরজ বিধানগুলো কি, কোনটা হালাল কোনটা হারাম, নিজের স্ত্রীকে কিভাবে রাখতে হয়, স্ত্রীর কি মর্যাদা ইসলামে। নতুবা সবাই তো এই যুগেে শুধু husband এর মর্যাদা নিয়েই ব্যস্ত। Husband যা বলবে খারাপ হলেও তা শুনতে হবে। husband এর relatives রা পরপুরুষ হলেও তাদের সাথে দেখা দেওয়া কথা বলা ইত্যাদি ইত্যাদি। বিয়ের উপর থেকেই তখন নারীর মন উঠে যায়। বিয়ে করে কি লাভ? মেয়েটাকে পুরো showpiece বানিয়ে ছাড়ে। যখন যা ইচ্ছে তাই করা যায়। এই যুগে কয়জন husband নারীদের পরিপূর্ণ পর্দার মধ্যে রাখে। পুরো সমাজটাই এমন হয়ে গেছে গ্রাম শহর সব জায়গায়। কিছু বললেই বলে নতুন হাদিস কি তুমিই নিয়ে আসছো? আর মেয়েরা নাই। অমুকে এভাবে চলে তমুকে ওভাবে চলে। ওরা তোমার থেকে আরো ভালোভাবে নামাজ কালাম পড়ে, বারবার কোরআন খতম দেয়, নফল রোজা রাখে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে এই যুগে একজন নারীর নিজের ইসলামিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই চাকরি করা উচিত। দীনদার ভালো ছেলে পেলে বিয়ে করবে যে নারীকে ইসলাম অনুযায়ী চালাবে সেই নারী যেভাবে চলতে চায় আর যদি না পারে তাহলে তো বিয়ে করারই দরকার নাই। আল্লাহর পথেই সারাটা জীবন সেই নারীর চলা উচিত। বিয়ের জন্য নারীকে পরিবার থেকে মানসিকভাবে চাপ দিলে তার কি করণীয়? সে যদি তার মা বাবাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয় যে ব্যাংকে চাকরি করা হারাম। সেই ব্যক্তি চাকরি করলেও সে তো সুদের সাথেই সম্পৃক্ত। আপনার কি মনে হয় শায়েখ? এমন ছেলে বিয়ে করলে সেই নারী কি করে তার husband এর টাকা খরচ করে তার শখ আল্লাদ পূরণ করবে। সেই নারী সারাজীবন তার বাবার সংসারেও কসট করে গেছে। কারণ সেই নারীর পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগার করেছে শুধুমাত্র tusion করে। সেই নারী ভেবেছিল অন্তত husband এর সংসারে গিয়ে যেন husband তার শখ আল্লাদগুলো পূরণ করে। এখন শখ আল্লাদ তো দূরের কথা তার income ই তো হারাম।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/398নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা।
২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/398

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1722


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
সুদী কারবারে জড়িত সকল প্রকার চাকুরী হারাম।আর হারাম মাল দ্বারা ভালো কিছু আশা করা যায়। সুতরাং যথাসম্ভব এমন রিশতায় কখনো রাজি হবেন না।হ্যা যদি এছাড়া আপনার নিকট আরো কোনো অপশন না থাকে, তাহলে আপনি তার নিকট থেকে শুধুমাত্র শরয়ী ভরণপোষণ নিতে পারবেন। এ ছাড়া আর কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না। এবং গ্রহণ করা জায়েযও হবে না।
https://www.ifatwa.info/2362 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২)
যেহেতু স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর।সে যেখান থেকেই ভরণপোষণ সংগ্রহ করুক,গোনাহ শুধুমাত্র স্বামীরই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...