আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।  অনেক জাইগায় একটা জিনিস দেখা যায় যে রামাদানের ২য় সাওমে যে বাক্তি বা সাওম পালনকারি ব্যাক্তির পিতা মাতা কে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দেন। আল্লাহু আলাম।


১, বিষয়টির সত্ততা সম্পরকে জানতে চাচ্ছি।
দয়া করে উত্তর দেবেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান
closed

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমাদের সমাজে মাহে রমজান সম্পর্কে নিন্ম হাদীসটি খুব প্রসিদ্ধ,দেখুন হাদীসটি-
❖ صحيح ابن خزيمة (3/ 191)
1887 – ثنا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، ثنا يُوسُفُ بْنُ زِيَادٍ، ثنا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ سَلْمَانَ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ فَقَالَ: ….. وَهُوَ شَهْرٌ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ، وَأَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ، وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِنَ النَّارِالخ
[التعليق] 1887 – قال الأعظمي: إسناده ضعيف علي بن زيد بن جدعان ضعيف
অর্থ : হযরত সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন এবং বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমাত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত/ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। ইবনে খুজাইমা-৩/১৯১, হাদীস-১৮৮৭, শুয়াবুল ঈমান-৫/২২৩, হাদীস-৩৩৩৬। (হাদীসটি অনেক দৈঘ এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।)

❀হাদীসটির মান : ❀
বিখ্যাত মুহাদ্দেস আল্লামা মুস্তফা আল আজমী ইবনে খুজাইমার তাহকীক করতে গিয়ে বলেন, উক্ত হাদীসটি যয়ীফ (যা ফাজায়েলের ক্ষেত্রে আমল যোগ্য) কেননা উক্ত হাদীসের সূত্রের মাঝে একজন বর্ণনাকারী হলেন ‘‘আলী ইবনে যায়েদ ইবনে জুদআন’’ তিনি একজন দুর্বল বর্ণনাকারী। তাই হাদীসটি যয়ীফ।

❏এছাড়াও ইমাম আহমদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল ইজলী (রহ.) তার সম্পর্কে বলেন- وَقَال أحمد بن عَبْد اللَّهِ العجلي : يكتب حديثه তার হাদীসগুলো সংগ্রহ করার মত আর অনত্র তিনি বলেন-لا بأس به. তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। ইমাম ইয়াকুব ইবনে শায়বা (রহ.) বলেন-وَقَال يعقوب بْن شَيْبَة: ثقة، صالح الحديث তিনি নির্ভরযোগ্য, হাদীসের ক্ষেত্রে সৎ আর বিখ্যাত ইমাম, ইমাম তিরমিযী (রহ.) বলেন-وَقَال التِّرْمِذِيّ : صدوق তিনি সত্যবাদী। তাহযীবুল কামাল-২০/৪৩৯।
কিন্তু আমাদের আহলে হাদীস ভাইগণ জাল আর যয়ীফ হাদীস এর পার্থক্য বুঝে না। প্রকৃত পক্ষে জাল কোন ভাবেই হাদীস না তা রাসূল (সা.) এর উপর মিথ্যারোপ শুধু। কিন্তু যয়ীফ হাদীস যা রাসূল (সা.) থেকে সাব্যস্ত কিন্তু সূত্রে মাঝে কোন বর্ণনাকারীর কারণে তা যয়ীফ হয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোযার ফযিলত নিয়ে অসংখ্য হাদীস রয়েছে, তবে আপনার বর্ণিত হাদিসটি আমরা কোথাও পাইনি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 306 views
0 votes
1 answer 487 views
0 votes
1 answer 167 views
0 votes
1 answer 174 views
0 votes
1 answer 248 views
0 votes
1 answer 191 views
0 votes
1 answer 295 views
...