ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো কিছু নষ্ট করলে বা হলে যখন মালিক সেটা দেখল না, কিন্তু আল্লাহতো দেখতেছেন, তাই উক্ত ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। সেই জিনিষ ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হলেও উক্ত জিনিষের মালিকের নিকট ক্ষমা চাইতে হইবে। মালিককে না পাওয়া গেলে পাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। এবং পরিশেষে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
দেখুন, আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে গেলে বান্দার হক পর্যন্ত মাফ করে দিতে পারেন।কেননা যাকে হত্যা করা হয়েছে তার বেঁচে থাকার হক্বকে ধংস করা হয়েছিলো।সুতরাং এটাও একটা বান্দার হক।
কিন্তু এর পরও আল্লাহ তা'আলা মাফ করে দিয়েছেন।এবং হক নষ্ট হয়ে যাওয়া উক্ত বান্দাদিগকে এমন পুরুস্কার দান করবেন যে, তারা আর তাদের হক সম্পর্কে কোনো প্রকার অভিযোগ দায়ের করবে না।বান্দার হক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1012
(২)কেউ কারো কাছে কোনো জিনিষ আমানত রাখলে সেই জিনিষ যদি বাজারে হুবহু পাওয়া যায়, তাহলে প্রয়োজনে উক্ত জিনিষ ব্যবহারের রুখসত দেওয়া যেতে পারে, তবে হবহু উক্ত জিনিষকে আরার রেখে দিতে হবে। যদি হবহু রেখে দেওয়া হয়, তাহলে কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)কারো অনুমতি ব্যতিত তার জিনিষ ব্যবহার করা কখনো বৈধ হবে না।
(৪)বান্দার সকল প্রকার হক প্রায় সমান-ই । সব কটি সম্পর্কে কঠিন জিজ্ঞাসা করা হবে। বিশেষ করে কোনো বান্দার আর্থিক কিছু পাওন থাকলে, সেই ঋণ পরিশোধ ব্যতীত বান্দা আখেরাতের ময়দানে এক কদমও সামনে অগ্রমর হতে পারবেনা।