আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

কোন ব্যক্তি যদি তার পরিবারের বা বন্ধুবান্ধবদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া যে দেয় এবং তা দেখে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কেউ ফিতনায় পতিত হয়;

তবে যে ব্যক্তি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ফিতনায় পতিত হলো সে কর্তৃক উক্ত ব্যক্তিদের(যাদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া যে তাদের পরিবারর লোক কর্তৃক বা বন্ধুবান্ধব কর্তৃক ছাড়া হয়েছে) হকের উপরে জুলুম করেছে? তাদের নিকট কি তার ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক?

1 Answer

0 votes
by (697,720 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ছবি সম্পর্কে হাদীস শরীফে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে,যেমনঃ- হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী-৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী-২২২৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 2253

জাস্টিস আল্লামা তাকী উসমানী (দাঃবাঃ)লিখেন,
ﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﺒﻼﺩ ﺍﻟﻌﺮﺑﻴﺔ، ﻭ ﺟﻠﻬﻢ ﺃﻭﻛﻠﻬﻢ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻼﺩ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ، ﻗﺪ ﺃﻓﺘﻮﺍ ﺑﺄﻧﻪ ﻻﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﺍﻟﻤﺮﺳﻮﻣﺔ ﻭ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﺍﻟﺸﻤﺴﻴﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﻜﻢ ..… ﻭﺍﻟﻮﺍﻗﻊ ﺃﻥ التفريق ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﺍﻟﺸﻤﺴﻴﺔ ﻻ ﻳﻨﺒﻐﻲ ﻋﻠﻰ ﺃﺻﻞ ﻗﻮﻯ، ﻭﻣﻦ ﺍﻟﻤﻘﺮﺭ ﺷﺮﻋﺎ ﺃﻥ ﻣﺎﻛﺎﻥ ﺣﺮﺍﻣﺎ ﺃﻭ ﻏﻴﺮﻣﺸﺮﻭﻉ ﻓﻲ ﺃﺻﻠﻪ ﻻﻳﺘﻐﻴﺮ ﺣﻜﻤﻪ ﺑﺘﻐﻴﺮ ﺍﻵﻟﺔ
আরব দেশের অনেক উলামায়ে কেরাম,এবং হিন্দুস্তানের অধিকাংশ বা সকল উলামায়ে কেরাম সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন যে,হাতে অঙ্কিত ছবি এবং ডিজিটাল ছবির মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। বাস্তবতা হচ্ছে, হাতে অঙ্কিত ছবি এবং ডিজিটাল ছবির মধ্যে পার্থক্য করার ভিত্তি মজবুত নয়।শরয়ী সিদ্ধান্তকৃত মাস'আলা হল,যে জিনিষের মূল হারাম,সেই জিনিষের হুকুমে মাধ্যম বা উসিলা পরিবর্তনের কারণে কোনো প্রকার পরিবর্তন আসবে না।(তাকমিলাতু ফাতাহিল মুলহিম-৪/৯৭)

প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীঃ
(১)বুখারী শরীফ : ২/৮৮০; হাঃ ৫৭২৯
(২)মুসলিম শরীফ- ২/২০০, হাঃ ৫৪৭১
(৩)ফাতাওয়ায়ে শামী- ২/৪১৬-১৭
(৪)তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিম- ৪৯৭,৯৮
(৫)শরহে নববী আলা সহীহ মুসলিম : (২)১৯৯; 
(৬)কিফায়াতুল মুফতী : ৯/২৪৩

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরয়ী জরুরত ব্যতীত ছবি হারাম।চায় হাতে অঙ্কিত ছবি হোক বা মুবাইল দ্বারা তোলা ছবি হোক।হ্যা বিশেষ জরুরতে একটা ছবি প্রুফাইল পিকছারের জন্য রাখা যেতে পারে।এ সম্পর্কে জানুন- 3635

সুতরাং 
স্মৃতি হিসেবে বিয়ের ছবি প্রিন্ট করে অ্যালবাম আকারে সংরক্ষণ করা যাবে না।জায়েয হবে না।ছবিগুলো সব সময় ঢাকা থাকলেও জায়েয হবে না।নন মাহরাম কেউ না দেখলেও জায়েয হবে না।

যে বা যারা যে সমস্ত ভাই বোনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে, তাদরে নিকট ক্ষমা চাইতে হবে।কেননা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার দ্বারা উক্ত বান্দার হক নষ্ট হয়েছে।তাদের নিকট ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হলে আল্লাহর নিকট তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
এমন কেউ দেখে ফিতনায় যদি পড়ে যায় যে পোষ্ট করেনি; তার ক্ষেত্রে মাস'আলা কি হবে? তাকেও কি উক্ত বান্দার নিকট ক্ষমা চাইতে হবে?

আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের সম্মতিক্রমেই ছবি ছাড়া হয় বা সম্মতি ছাড়া ছবি ছাড়লেও তারা আপত্তি করেনা এসব বিষয়ে৷ সেক্ষেত্রে, অন্য কেউ ফিতনায় পড়ে গেলে ফিতনায় পড়ে যাওয়া ব্যক্তির করণীয় কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...