জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিষয়টি জানা মাত্র তাকে পৃথক হয়ে যেতে হবে।
এতো দিনের এহেন গুনাহের জন্য মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
জানা মাত্র সাথে সাথে পৃথক হয়ে গেলে এবং খালেছ দিলে তওবা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ।
,
কেহ যদি তওবার সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে,আল্লাহ যদি তার তওবা কবুল করেন,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ গুনাহর জন্য শাস্তি দিবেননা।
.
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির তালাক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ফতোয়া এই ফতোয়ার সাইট থেকে প্রকাশ হয়েছে।
মাঝে মাঝে ভিন্ন আঙ্গিকেও প্রশ্ন এসেছে।
,
আসলে তালাক এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।
এ ভয়ানক শব্দটি ইচ্ছাকৃতভাবে বলুক বা অনিচ্ছায় বলুক,জবরদস্তি মূলক বলুক বা জবরদস্তি ছাড়াই বলুক, নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতামূলক এক তালাক ধরে নিবে।
যেহেতু তা'লিকে তালাক তথা শর্ত যুক্ত তালাকের ছুরতে তালাকে বায়েন পতিত হয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য নতুন ভাবে বিবাহ পড়ে নিতে হবে।