আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
889 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম
এক অসহায় বোনের বিয়ে হইছে ১৬ বছর আগে,,তার একজন সন্তানও আছে,বিয়ের ১৬ বছর পর জানতে পারে তার স্বামী বিয়ের আগে মুয়াকাল্লা তালাক দিয়েছিল,এখানে বলে রাখি তার স্বামী একজন ওয়াসওয়াসার রুগি,,এখন বোনটা আল্লাহর শাস্তির ভয়ে কান্না কাটি করছে...

১ঃ- যেহেতু বোনটা এতদিন কিছুই জানত না তাই সে তার স্বামীকে বৈধ স্বামী ভেবেই সংসার করে আসছে,এজন্য কি বোনটা পরকালে কোন শাস্তি পাবে যেহেতু তাকে এতদিন কিছুই জানানো হইনি

২ঃ-কোন ওয়াসওয়াসার রুগি যার মনে সবসময় তালাকের ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে সে যদি মনে মনে আসার সাথে মুখেও বলছিল কিনা শত চেষ্টা করেও কিছুতেই মনে করতে না পারে,তার একবার মনে হয় শুধু মনে মনেই দিছে,আবার মনে হয় না মনে মনে দেওয়ার সাথে সাথে মুখেও বলছে, মানে কোনটা শিউর হতে না পারলে হয়ত মুখেও বলছিল এমন ধারনার উপর ভিত্তি করে কি ইসলামে তালাক কার্যকর হয়?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিষয়টি জানা মাত্র তাকে পৃথক হয়ে যেতে হবে।   
এতো দিনের এহেন গুনাহের জন্য মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
জানা মাত্র সাথে সাথে পৃথক হয়ে গেলে এবং খালেছ দিলে তওবা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ।    
,
কেহ যদি তওবার সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে,আল্লাহ যদি তার তওবা কবুল করেন,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ গুনাহর জন্য শাস্তি দিবেননা। 
.
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুনঃ  

(০২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির তালাক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ফতোয়া এই ফতোয়ার সাইট থেকে প্রকাশ হয়েছে।  
মাঝে মাঝে ভিন্ন আঙ্গিকেও প্রশ্ন এসেছে। 
,
আসলে তালাক  এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

এ ভয়ানক শব্দটি ইচ্ছাকৃতভাবে বলুক বা অনিচ্ছায় বলুক,জবরদস্তি মূলক বলুক বা জবরদস্তি ছাড়াই বলুক,   নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতামূলক এক তালাক ধরে নিবে।
যেহেতু তা'লিকে তালাক তথা শর্ত যুক্ত তালাকের ছুরতে তালাকে বায়েন পতিত হয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য নতুন ভাবে বিবাহ পড়ে নিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
প্রশ্নে তো মুয়াল্লাক তালাকের কথা এসেছে।  এবং তিন তালাকও বলা হয় নি৷ আবার https://ifatwa.info/6454/ এখানে বলা হল মুয়াল্লাক তালাক হলে ১ তালাক পড়বে! তাহলে রজায়াতের পরামর্শ না দিয়ে পৃথক হতে বলার কারণ কী?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...