আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
4,704 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম। পবিত্র কোরআন শরীফ খতম শেষে দোয়া নিয়ে জানতে চাচ্ছিলাম। কোরআন শরীফের শেষের দিকে আরবীতে যে দোয়াটা লেখা থাকে,ঐ দোয়াটা পড়া কি বাধ্যতামূলক?না পড়লে কি গুনাহ হবে? কোরআন খতমের শেষে কেমন দোয়া করতে হবে জানালে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


কোরআন শরীফ পড়ার পর (খতম করার পর) দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় সেই হিসেবে যে কোন দোয়াই করা যাবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন দোয়া নেই।

কুরআন খতম করার পর দোয়া করাও
 শরিয়ত অনুমোদিত। তবে সবসময় ও নির্দিষ্ট কোন শব্দমালায় দোয়া করা ঠিক নয়; যাতে মনে হতে পারে এটা একটা অনুসৃত সুন্নত। কেননা এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়নি। বরং কোন কোন সাহাবী সেটা করেছেন। 

যেহেতু পুরো কুরআন মজিদ একবার পাঠ সম্পন্ন করতে পারা আল্লাহর বিশেষ রহমত ও তাওফিকের প্রমাণ, এজন্য এ সময়ে আল্লাহর প্রশংসা ও তার রাসূলের নামে দরুদ পাঠ করাই শ্রেয়। 

একই সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং কুরআন মজিদের নূর ও বরকত লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ভালো। পাশাপাশি পার্থিব কোনো বৈধ প্রয়োজন মেটানোর জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন জানানো দোষের নয়। 

বিভিন্ন মূদ্রণালয়ের কুরআন মজিদের শেষে যে এক বা একাধিক দোয়া ছাপা দেখা যায়, তা সুন্দর অর্থবহ। যিনি অর্থ বোঝেন, তিনি এগুলো পাঠ করতে পারেন। এতে কুরআনের প্রতি তার ঐকান্তিকতা ও নিবিষ্টতা বাড়বে। তবে এটি জরুরি নয়। সুতরাং কেউ পাঠ না করলে ক্ষতি হবে না।

 এ দোয়াকে সুন্নত মনে করা,জরুরি মনে করা,  কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করে তাহা পড়া বিদআত। নতুবা এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ

‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’

পূর্ণ হাদীসটি হলোঃ 
রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

আরেক হাদীসে আছে-

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
,
★★সুতরাং কোরআন শরীফের শেষের দিকে আরবীতে যে দোয়াটা লেখা থাকে,ঐ দোয়াটা পড়া বাধ্যতামূলক নয়।
না পড়লে কোনো গুনাহ হবেনা।
,
কুরআন খতম শেষে জরুরী মনে না করে  
আল্লাহর প্রশংসা ও তার রাসূলের নামে দরুদ পাঠ করবেন।

একই সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং কুরআন মজিদের নূর ও বরকত লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ভালো। পাশাপাশি পার্থিব কোনো বৈধ প্রয়োজন মেটানোর জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন জানানো যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...