জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কোরআন শরীফ পড়ার পর (খতম করার পর) দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় সেই হিসেবে যে কোন দোয়াই করা যাবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন দোয়া নেই।
কুরআন খতম করার পর দোয়া করাও
শরিয়ত অনুমোদিত। তবে সবসময় ও নির্দিষ্ট কোন শব্দমালায় দোয়া করা ঠিক নয়; যাতে মনে হতে পারে এটা একটা অনুসৃত সুন্নত। কেননা এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়নি। বরং কোন কোন সাহাবী সেটা করেছেন।
যেহেতু পুরো কুরআন মজিদ একবার পাঠ সম্পন্ন করতে পারা আল্লাহর বিশেষ রহমত ও তাওফিকের প্রমাণ, এজন্য এ সময়ে আল্লাহর প্রশংসা ও তার রাসূলের নামে দরুদ পাঠ করাই শ্রেয়।
একই সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং কুরআন মজিদের নূর ও বরকত লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ভালো। পাশাপাশি পার্থিব কোনো বৈধ প্রয়োজন মেটানোর জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন জানানো দোষের নয়।
বিভিন্ন মূদ্রণালয়ের কুরআন মজিদের শেষে যে এক বা একাধিক দোয়া ছাপা দেখা যায়, তা সুন্দর অর্থবহ। যিনি অর্থ বোঝেন, তিনি এগুলো পাঠ করতে পারেন। এতে কুরআনের প্রতি তার ঐকান্তিকতা ও নিবিষ্টতা বাড়বে। তবে এটি জরুরি নয়। সুতরাং কেউ পাঠ না করলে ক্ষতি হবে না।
এ দোয়াকে সুন্নত মনে করা,জরুরি মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করে তাহা পড়া বিদআত। নতুবা এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’
পূর্ণ হাদীসটি হলোঃ
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
,
★★সুতরাং কোরআন শরীফের শেষের দিকে আরবীতে যে দোয়াটা লেখা থাকে,ঐ দোয়াটা পড়া বাধ্যতামূলক নয়।
না পড়লে কোনো গুনাহ হবেনা।
,
কুরআন খতম শেষে জরুরী মনে না করে
আল্লাহর প্রশংসা ও তার রাসূলের নামে দরুদ পাঠ করবেন।
একই সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং কুরআন মজিদের নূর ও বরকত লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ভালো। পাশাপাশি পার্থিব কোনো বৈধ প্রয়োজন মেটানোর জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন জানানো যাবে।