ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে।
মালে নামীতে যাকাত আসে।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
গরীবদের ফায়দার কথা বিবেচনা করে, ফুকাহায়ে কেরাম, ৫২ তুলা রূপার মূ্ল্যর উপর যাকাতকে ফরয করেছেন।
(২)
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেবাস ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1811
নেসাবকে টাকার দ্বারা হিসাব করা যায় না। বরং স্বর্ণ রূপার বাজার মূল্য অনুযায়ী টাকায় নেসাব নির্ধারণ করা হয়।সুতরাং দেখবেন যে,বাজারে ৫২.৫ভড়ি রূপার মূল্য যত হবে, তথ টাকাই কুরবানির নেসাব হবে।অর্থাৎ কুবানির দিন সমূহের কোনো একদিন(তিন দিন) কেউ নেসাব পরিমাণ টাকার মালিক হলে তার উপর একটা বকরি কিরবানি করা ওয়াজিব।১০/১২হাজারের যে কথা আপনি বলছেন,ঐ কথা বিশুদ্ধ নয়।যে ব্যক্তি অনেকদিন যাবৎ কুরবানি দিচ্ছে না,সামর্থ্য অনুযায়ী হেকমতের সাথে সেই ব্যক্তিকে বুঝানো ও উপদেশ প্রদান করা ফরয।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2283