আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
699 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (5 points)
১.যাকাতের নিসাব স্বর্ণ এবং রৌপ্যের হিসাবে আলাদা চলে আসে। কোনটা ধরা উচিত? এবং বাজারদের কত টাকার সম্পত্তি থাকলে যাকাত ফরজ হবে এরকম স্পষ্ট নির্দেশনার ফতওয়া পেলে উপকার হতো মুসলিমদের।

২. যাকাত ফরজ হলেই কি কুরবানি ও ওয়াজিব হবে? গতবছর রুপার হিসাবে নিসাব এর পরিমাণ সাড়ে ২৬ হাজার টাকার মতো ধরেছিলাম (জানিনা হিসাব সঠিক ছিলো কিনা), এরুপ অবস্থায় কি কুরবানি ওয়াজিব হয়?

1 Answer

0 votes
by (697,040 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121

মালে নামীতে যাকাত আসে।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।

মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
গরীবদের ফায়দার কথা বিবেচনা করে, ফুকাহায়ে কেরাম, ৫২ তুলা রূপার মূ্ল্যর উপর যাকাতকে ফরয করেছেন। 

(২)
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেবাস ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1811

নেসাবকে টাকার দ্বারা হিসাব করা যায় না। বরং স্বর্ণ রূপার বাজার মূল্য অনুযায়ী টাকায় নেসাব নির্ধারণ করা হয়।সুতরাং দেখবেন যে,বাজারে ৫২.৫ভড়ি রূপার মূল্য যত হবে, তথ টাকাই কুরবানির নেসাব হবে।অর্থাৎ কুবানির দিন সমূহের কোনো একদিন(তিন দিন) কেউ নেসাব পরিমাণ টাকার মালিক হলে তার উপর একটা বকরি কিরবানি করা ওয়াজিব।১০/১২হাজারের যে কথা আপনি বলছেন,ঐ কথা বিশুদ্ধ নয়।যে ব্যক্তি অনেকদিন যাবৎ কুরবানি দিচ্ছে না,সামর্থ্য অনুযায়ী হেকমতের সাথে সেই ব্যক্তিকে বুঝানো ও উপদেশ প্রদান করা ফরয।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2283


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...