আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,287 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
অস্পষ্ট তালাক হয়ে থাকে,  মানে হাসবেন্ড বলেছে তোমাকে আমার আর চাইনা সব সম্পর্ক শেষ।  এরপর একমাস পর আবার বলে , সে এরকম একাধিক বার বলেছে অনেক অনেক দিন পরপর। এক তালাক, দুই তালাকের নিয়তে বলেনি।

জাস্ট বলেছে তার যখন রাগ হয়েছে।
আবার মেয়ে যখন বলেছে যে ডিভোর্স পেপার রেডি করবে তখন সে বলছে ওকে ঠিকাছে
এখন কি পুনরায় তাকে বিয়ে করা যাবে ছেলে চাচ্ছে।  আর পুনরায় বিয়ের আগে কথা বলা যাবে?

ইভেন ছেলে বলছে সে তালাকের নিয়তে বলেনি কিন্তু মেয়ে সন্দেহ করছে সে তালাকের নিয়তেই বলেছে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তে বিশেষ প্রয়োজনে,যখন স্বামী স্ত্রীর মাঝে  বনিবনা কোনো ভাবেই সম্ভবপর হয়না,তখন এক তালাক দেওয়ার বিধান এসেছে।
 বিনা কারণে তালাক প্রদাণ করা হারাম।এর শাস্তি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অবশ্যই পেতে হবে।

তালাক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «أبغض الحلال إلى الله تعالى الطلاق»

অর্থ:রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় হালাল হচ্ছে 'তালাক'।(আবু দাউদ-২১৭৮)

শরিয়তের পরিভাষায় প্রশ্নে উল্লেখিত জাতীয় শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

★★প্রশ্নে উল্লেখিত  ""তোমাকে আমার আর চাইনা সব সম্পর্ক শেষ""
এটি কেনায়া শব্দ।

জানুনঃ 

এই শব্দ গুলো বলার দ্বারা যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকে,বা সেটি তালাকের মজলিস ছিলো তথা তালাক দেওয়া নিয়েই সেখানে আলোচনা চলছিলো, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    
এগুলো বলার সময় প্রত্যেকবার  তালাকের নিয়ত করে থাকে, তাহলে প্রত্যেকবার এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
যদি সব মিলে এক তালাক বা  দুই তালাক হয়,তাহলে 
যেহেতু এটি তালাকে বায়েন। তাই তাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাইলে নতুন করে আবার বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 
,
এই ভাবে যদি তিন তালাক পতিত হয়ে যায়,তাহলে ঐ স্ত্রী তার উপর একেবারে হারাম হয়ে যাবে।
শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত তাকে আর কোনো বিবাহ করেও রাখা যাবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ   

তিন তালাকের বিধান 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু স্বামী দাবি করতেছে যে আমি সে শব্দ বলার সময় কোনোদিনও তালাকের নিয়ত করিনি।
তবে স্ত্রী সন্দেহ মূলক দাবী করছে যে সে তালাকের নিয়ত করেছিলো।
সুতরাং এখন দেখার বিষয় হলো এই শব্দ যখন স্বামী বলেছিলো,সেটি কি তালাকের মজলিস ছিলো? তথা তালাক দেওয়া নিয়েই সেখানে আলোচনা চলছিলো?
যদি এমন মজলিসেই সে এই কথা বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবে।
যতবার এমন মজলিসে সে এই কথা বলেছে,ততবাত তালাক হবে।
অন্যথায় তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...