আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
446 views
in সালাত(Prayer) by (64 points)
আসসালামু  আলাইকুম।

আমি নামাজে কি বলছি তার অর্থ বুঝে বুঝে নামাজ পড়তে চাই। কিন্তু স্মৃতিশক্তির দূর্বলতার জন্য আমার নামাজে অর্থ মনে করতে কয়েক সেকেন্ড দেরি হয়।
1) নামাজে সুরা বলার সময় কি তা প্রতিটি শব্দ বলার পর একটু থামা যাবে? যেমন, আলহামদুলিল্লাহি বলার পর এক দুই সেকেন্ড চুপ থেকে রব্বিল আলামিন বলা যাবে?

2) নামাজে রুকু,সিজদার দোয়া, তাশাহুদ, দুরুদ উপরে উল্লিখিত নিয়মে পড়া যাবে?

3) নামাজে ফাতিহা ও অন‍্য সুরার একটি আয়াতকে বারবার পড়া যাবে?যেমন, সূরা ফাতিহার প্রথম লাইন তিনবার বললাম, দ্বিতীয় লাইন তিনবার বললাম, তৃতীয় লাইনে তিনবার বললাম, এভাবে নামাজে কি পড়া যাবে?

4) নামাজে একটি আয়াত শেষ করার পর সর্বোচ্চ কত সেকেন্ড চুপ থেকে পরের আয়াত বলা শুরু করা যাবে?

5)নামাজে যদি একটি সুরার  নির্দিষ্ট কিছু আয়াত পাঠ করি, যেমন  একটি সূরার 1 ও 2 নং আয়াত পাঠ করলাম, তারপর 3 ও 4 নং আয়াত পাঠ না করে 5 ও 6 নং আয়াত পাঠ করলাম। এভাবে কি পড়া যাবে? পড়া গেলে বিসমিল্লাহ কি শুরুতে একবার বললেই হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযে তিন তাসবিহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৭৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ ও ১/৪৫৬)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5939

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)নামাযে একটি শব্দ বলার পর তিন তাসবিহ পরিমাণ চুপ থাকলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে যায়। আপনি একাকী নামায পড়লে এক তাসবীহ বা দুই তাসবিহ পরিমাণ চুপ থাকতে পারবেন। তবে ইমাম সাহেবের জন্য উচিৎ হবে না। কেননা এতে করে নামায দীর্ঘায়িত হয়ে যাবে। সর্বোপরি উত্তম এটাই যে, আপনি সূরা সমূহের অর্থ নামাযের বাহিরে ভালভাব রপ্ত করে নিবেন। তাহলে আর চুপ থাকার প্রয়োজন পড়বে না। রপ্ত করার পূর্ব পর্যন্ত আপনি চাইলে দুই তাসবিহ পর্যন্ত চুপ থাকতে পারবেন। 

(২)দু’আ দুরুদের বেলায়ও কেরাতের মত হুকুম প্রযোজ্য হবে। 

(৩)সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একই রা'কাতে কোনো এক সূরা বা কোনো এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা জায়েয হলেও অনুত্তম(মাকরুহে তানযিহি)। উত্তম হলো,কোনো এক সূরা তেলাওয়াত করার পর ভিন্ন কোনো সূরা তেলাওয়াত করা, এবং এক আয়াত তেলাওয়াত করার পর পরবর্তী আয়াত তেলাওয়াত করা। সুতরাং জরুরতের ভিত্তিতে এক সূরাকে বারংবার বা একই রা'কাতে কয়েক সূরার অংশকে তেলাওয়াত করা যাবে।এক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না।আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2123

এ হল হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত। তাছাড়া হানাফি মাযহাব ব্যতীত অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল, একই রাকাতে এক সূরা বা একই আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা যাবে। এতে কোনো অসুবিধে নাই। আপনি ইউটিউবে যে তেলাওয়াত দেখছেন, তা ভিন্ন মাযহাবের অনুসারীদের তেলাওয়াত। 

(৪)তাসবিহ পরিমাণ চুপ থাকার পূর্বে আরেকটি সূরা বা আয়াতকে শূরু করতে হবে। 

(৫)আপনার বর্ণিত পদ্ধতিতে এভাবে তেলাওয়াত করা মাকরুহে তানিযিহি বা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 818 views
...