ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সূরা ফাতিহার পরে সূরা মেলানোর সময় যদি ১ সূরার সাথে অন্য সূরা পড়ে ফেলা হয়,এবং তাতে অর্থ বিগড়ে না যায়,তাহলে নামায হয়ে যাবে।অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।অর্থ বিগড়ে গেল কি না? সেটা পড়ার ধরণের উপর নির্ভর করবে।
https://www.ifatwa.info/9733 নং ফাতাওয়ায় বর্ণিত রয়েছে যে, সূরায়ে ফাতেহার পর বড় এক আয়াত এবং ছোট ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ওয়াজিব।নামাযে কেরাত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/345
ফরয ওয়াজিব নামাযে সূরা সমূহের মধ্যকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।নফল নামাযে মুস্তাহাব।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وإذا جمع بين سورتين بينهما سور أو سورة واحدة في ركعة واحدة يكره وأما في ركعتين إن كان بينهما سور لا يكره وإن كان بينهما سورة واحدة قال بعضهم: يكره، وقال بعضهم: إن كانت السورة طويلة لا يكره. هكذا في المحيط كما إذا كان بينهما سورتان قصيرتان. كذا في الخلاصة. وقال بعضهم: لا يكره أصلا
যদি কেউ একই রা'কাতে এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানের অনেক সূরা রয়েছে,বা একটি সূরা রয়েছে,তাহলে এমনটা করা মাকরুহ।তবে যদি দুই রা'কাতে কেউ এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানে অনেক সূরা রয়েছে,তাহলে সেটা মাকরুহ হবে না।আর যদি ঐ দু'টি সূরার মধ্যখানে একটি সূরা থেকে যায়,তাহলে কেউ কেউ এটাকে মাকরুহ বলেছেন।এবং কেউ কেউ বলেন,যদি মধ্যখানের সূরা বেশ দীর্ঘ হয়,তাহলে মাকরুহ হবে না।ঠিক তেমনি দু'টি ছোট ছোট সূরা থাকলে মাকরুহ হবে না।(খুলাসাহ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্ণিত সূরতে নামায বিশুদ্ধ হয়ে গেছে। কেননা এখানে অর্থ বিকৃত হয়নি।
(২)
ইমাম সাহেব কর্তৃক সূরায়ে ফাতেহার পর ছোট তিন আয়াত এবং বড় এক আয়াত পড়ে নিলে ইমামকে আর লুকমা দেওয়া উচিৎ হবে না। এবং ইমামের উচিৎ লুকমা গ্রহণ না করে রুকুতে চলে যাওয়া।