সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাত্র পাত্রী উভয়ে রোযা রাখা অবস্থায় বিবাহ করতে পারবে,এই বিবাহ পড়ানো যাবে।
রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রীর উপর কাযা ও কাফফারা উভয়ই আবশ্যক হবে।
,
কাফফারা হল, লাগাতার ষাট দিন রোযা রাখতে হবে। মাঝখানে একদিনও কাযা করা যাবে না। কাযা হলে আবার প্রথম থেকে ষাটটি রাখতে হবে।
,
যদি কোন ব্যক্তি রোযা রাখতে না পারে বয়সের কারণে বা অসুস্থ্যতার কারণে তাহলে ষাটজন মিসকিনকে দুআ বেলা খানা খাওয়াতে হবে। একদিনের খানা সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা।
,
রোযা রাখতে সক্ষম ব্যক্তি মিসকিনকে খানা খাওয়ালে কাফফারা আদায় হবে না।
,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: هَلَكْتُ، قَالَ: «وَمَا أَهْلَكَكَ؟» قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْتِقْ رَقَبَةً» قَالَ: لَا أَجِدُ، قَالَ: «صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ» قَالَ: لَا أُطِيقُ، قَالَ: «أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا
অনুবাদ- হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। রাসূল সাঃ জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাকে কে ধ্বংস করেছে? সাহাবী বললেন, রমজানে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। রাসূল সাঃ তাকে বললেন, তাহলে এর বদলে একটি গোলাম আযাদ কর। সাহাবী বললেন, আমি এতে সক্ষম নই। নবীজী সাঃ বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখ। সাহাবী বললেন, আমি এতেও সক্ষম নই। তখন রাসূল সাঃ বললেন, তাহলে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খানা খাওয়াও। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৭১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৯৪৪, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১১০৭, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৯৪৯, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৫২৭}
من جامع عمدا فى أحد السبيلين فعليه القضاء والكفارة، ولا يشترط الإنزال فى المحلين، كذا فى الهداية، وعلى المرأة مثل ما على الرجل إن كانت مطاوعة، وإن كانت مكرهة فلعيها القضاء دون الكفارة، وكذا إذا كانت مكرهة فى الابتداء ثم طاوعته بعد ذلك (الفتاو الهندية-1/208، الفتاوى التاتارخانية-3/393
সারমর্মঃ
কেহ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা রাখা অবস্থায় মহিলাদের গোপনাঙ্গের দুইর রাস্তার কোনো এক রাস্তা দিয়ে সহবাস করে,তাহলে তার উপর কাজা কাফফারা উভয়টিই ওয়াজিব হবে।