আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

উস্তায এক বোন সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছেন যে তিনি বিয়ে করবেন কি করবেননা। উনার একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীত রয়েছে। শরীয়াহ আইনে যেটাকে বলে ব্যভিচার।

তবে উনি নিজের প্রতি যে জুলুমটা করেছেন তা অজ্ঞতার কারণে। এবং একটা সময় উনার মাঝে দ্বীনের বুঝ আসে। তিনি তাওবাহ করেন এবং নিজেকে সমস্ত হারাম কাজ থেকে গুটিয়ে নেন। তিনি এখন পরিপূর্ণ দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করেন।

এখন উনার ভয়টা হল,হক নষ্ট করার ভয়। হয়তো তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কিন্তু এতবড় একটা বিষয় গোপন করে উনি দ্বীনদার কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেননা। উনার কথা হল,দ্বীনদার ব্যক্তিটিতো দ্বীনদার ও পবিত্র কোন স্ত্রী পাওয়ার যোগ্য। তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিষয়টি গোপন করে বিয়ে করে ঐ ব্যক্তির হক নষ্ট করতে পারেননা। আবার আল্লাহ বলেছেন নিজের গুনাহের কথা কারো কাছে প্রকাশ না করতে। এবং তিনি নিজেও চাননা এই গুনাহের কথা কেউ জানুক। তিনি বলেন, তিনি কখনো তার স্বামীকে এসব কথা বলতে পারবেন না। তিনি অনুতপ্ত এবং মানসিক ভাবে ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছেন। এই ফেতনার মাঝে তিনি না একা থাকতে পারছেন না দ্বীনদার কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। একইভাবে বেদ্বীন কাউকে বিয়ে করার কথাও ভাবতে পারছেননা।

এমন হয় যে তিনি প্রায় মৃত্যু কামনা করেন। দ্বীনের বুঝ নাথাকলে হয়তো এতদিনে সুইসাইড করে বসতেন। এই মুহূর্তে বোনটির করণীয় কি? আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (710,520 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো মানুষের জন্য নিজের দোষ অন্যর সমানে প্রকাশ করাও জায়েয হবে। যদি কেউ কখনো অতীতের এমন কোনো গেনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়,যা সে এক সময় করেছিল,তাহলে সে তখন মিথ্যা বলবে।মিথ্যা বলার বিধানটা তখন শীতিলযোগ্য হবে।
গোনাহ করার পর উক্ত গোনাহকে প্রকাশ না করার নির্দেশ রাসূলুল্লাহ সাঃ দিয়েছেন।যেমন-
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল।
সহীহ বুখারী-৬০৬৯
সহীহ?মুসলিম-২৯৯০

তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/906

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
ঐ বোন উনার অতীত জীবনের হবু স্বামীকে বলবেন না। উনি আল্লাহর কাছে তাওবাহ করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...