আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
  1. আমাদের এই পৃথিবীতে ২৪ ঘণ্টায় দিন আমরা হিসাব করি কিন্তু আল্লাহ কোরআন এ যে দিন গুলো উল্লেখ করেছেন যে তিনি ৬ দিন পৃথিবী আসমান সমূহ আর আমাদের ৫০ হাজার বসর যে দাড়িয়ে থাকতে হবে হাসর এর ময়দানে এটা আসলে কিভাবে হিসাব হবে?

  2. আদম আ তিনি কি শুধু নবী নাকি রাসূল ছিলেন কারন কিছু হাদীস পাওয়া যায় যে তিনি রাসূল সিলেন ?

  3. জান্নাতুল মাওয়া কি ?কিছু আলেমগন বলেন যে আদম আ আর তার বিবি হাওয়া আঃ তারা এই জান্নাতে ছিলেন ? এটা আর জান্নাতুল ফেরদাউস কি আলাদা ? 

1 Answer

0 votes
by (707,840 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-.
কুরআন হাদীসে যে সমস্ত দিনের আলোচনা এসছে, সে সমস্ত দিনের পরিমাপ সম্পর্কে বিভিন্ন রেওয়াত বর্ণিত হয়েছে, মোটকথা এদ্বারা দীর্ঘ সময় উদ্দেশ্য। দিনের হিসাব আল্লাহ কিভাবে করবেন, তা আল্লাহই ভালো জানেন। 

«٧٨٦٩٧ - عن عبد الله بن عباس -من طريق علي- في قوله: {فِي يَوْمٍ كانَ مِقْدارُهُ ألْفَ سَنَةٍ مِمّا تَعُدُّونَ} [السجدة: ٥]، قال: هذا في الدنيا؛ تَعرج الملائكة في يوم كان مِقداره ألف سنة. وفي قوله: {فِي يَوْمٍ كانَ مِقْدارُهُ خَمْسِينَ ألْفَ سَنَةٍ}: فهذا يوم القيامة، جَعله الله على الكافرين مقدار خمسين ألف سنة(٢). (١٤/ ٦٨٩)
 
٧٨٦٩٨ - عن عبد الله بن عباس -من طريق عكرمة- في قوله: {فِي يَوْمٍ كانَ مِقْدارُهُ خَمْسِينَ ألْفَ سَنَةٍ}، قال: لو قدّرتموه لكان خمسين ألف سنة مِن أيامكم. قال: يعني: يوم القيامة(٣) [٦٧٨٨]. (١٤/ ٦٩٠)
 
٧٨٦٩٩ - عن عبد الله بن عباس -من طريق ابن أبي مُلَيْكَة- أنّ رجلًا سأله عن يوم كان مِقداره ألف سنة. فقال: ما يوم كان مِقداره خمسين ألف سنة؟ قال: إنما سألتُك لتُخبِرني! قال: هما يومان ذكرهما الله في القرآن، الله أعلم بهما. فكَره أن يقول في كتاب الله ما لا يعلم(٤). (ز)» - «موسوعة التفسير المأثور» (22/ 220)


আদম আঃ নবী এবং রাসূল ছিলেন। 

জান্নাতুল মাওয়া হল, জান্নাতের একটি দরজার নাম। আদম আঃ কোন জান্নাতে ছিলেন, এ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু নাই। 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى : أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ذُخْرًا بَلْهَ مَا أُطْلِعْتُمْ عَلَيْهِ ) ، ثُمَّ قَرَأَ ( فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ )رواه البخاري ( 3072 ) ومسلم ( 2824 )



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...