আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
564 views
in সালাত(Prayer) by (29 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

১। তারাবীহ এবং কিয়ামুল্লাইল (তাহাজ্জুদ) কি আলাদা আলাদা নামাজ?
২। তারাবীহ নামাজে এত দ্রুত নামাজ পড়ানো হয় যে শুধু মাত্র সুরার শুরু এবং শেষ বুঝতে পারি। মাঝখানে কি বলে তাঁর কিছুই বুঝা যায়না। ২২/২৩ মিনিটে ২০ রাকাত নামাজ শেষ করে দেয়। ( আপনি বুঝতেই পারছেন কত দ্রুত পড়ানো হয়, এক নিঃশ্বাসে একটি সুরা শেষ করে দেয়, রুকু সিজদাহ থেকে উঠেও এক তাসবিহ পরিমাণ থাকেনা।)  । এভাবে নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে? এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? আমি গত রমাদানে বেশ কয়েকবার বলেছিলাম, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যার কারণে একা একাই অনেকদিন নামাজ পড়েছিলাম (এইভাবে নামাজ পড়লে আমার মনে প্রশান্তি পাইনা। যার কারণে একা একা পপড়েছিলা আর গতবার লকডাউনও ছিল,  বেশিরভাগ নামাজই বাড়িতেই পড়তে হয়েছিলো)। আবার রমাদান এসে গেছে। এরকম ভাবেই আবার শুরু হবে এতে সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে একাকী নামাজ পড়া ঠিক হবে কি? অনুগ্রহ করে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন!

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কিয়ামুল লাইল এটি আম তথা ব্যাপক শব্দ।
তারাবিহ এর নামাজ কিয়ামুল লাইল এর অন্তর্ভুক্ত। 
তাহাজ্জুদ নামাজও এর অন্তর্ভুক্ত। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসে কিয়ামুল লাইল পালন করে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়”[বুখারী (৩৬)

অন্য হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، - قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ ثُمَّ يَقُولُ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ "

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান মাসের ক্বিয়ামে খুবই উৎসাহী ছিলেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে লোকদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দিতেন না। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানের রাতে সলাতে দাঁড়ায়, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। 
(আবু দাউদ ১৩৭১.বুখারী (অধ্যায় : লাইলতুল ক্বদরের ফাযীলাত, অনুঃ ক্বদরের রাত, হাঃ ২০১৪), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত, অনুঃ রমাযান মাসের রাতের বেলায় ‘ইবাদাত করা তথা তারাবীহ সলাত আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান)।

,
★তারাবিহ আর তাহাজ্জুদ নামাজের মধ্যে পার্থক্য হলোঃ  
তারাবিহ প্রথম রাত্রিতে পড়তে হয়। তা বিশ রাকাত এবং এগুলো সুন্নতে মুআক্কাাদা। আর তাহাজ্জুদ শেষ রাত্রিতে পড়তে হয়, তা নফল।

তারাবিহ নামাজ ২০ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। 
ওযর বশত কখনো কম পড়া যাবে।
,
তবে কম পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা গুনাহ।
,
বিস্তারিত জানুনঃ   
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এ দুইটার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।       

(০২)
এমতাবস্থায় আপনি একাকী বা বাসায় তারাবিহ পড়তে পারেন।
কোনো সমস্যা  নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ 

তারাবিহ নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মু'আক্কাদা আলাল কেফায়া। কিছু সংখ্যক মসজিদে আদায় করে নিলেই, সবার পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে।অন্যথায় সবাই গোনাহগার হবে।

وَلَوْ تَرَكَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ كُلُّهُمْ الْجَمَاعَةَ فَقَدْ أَسَاءُوا وَأَثِمُوا، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.

যদি কোনো মসজিদের অধিবাসী সবাই জামাতকে ছেড়ে দেয়,তাহলে তারা গুনাহগার হবে।
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 225 views
...