জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কিয়ামুল লাইল এটি আম তথা ব্যাপক শব্দ।
তারাবিহ এর নামাজ কিয়ামুল লাইল এর অন্তর্ভুক্ত।
তাহাজ্জুদ নামাজও এর অন্তর্ভুক্ত।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসে কিয়ামুল লাইল পালন করে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়”[বুখারী (৩৬)
অন্য হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، - قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ ثُمَّ يَقُولُ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ "
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান মাসের ক্বিয়ামে খুবই উৎসাহী ছিলেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে লোকদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দিতেন না। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানের রাতে সলাতে দাঁড়ায়, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
(আবু দাউদ ১৩৭১.বুখারী (অধ্যায় : লাইলতুল ক্বদরের ফাযীলাত, অনুঃ ক্বদরের রাত, হাঃ ২০১৪), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত, অনুঃ রমাযান মাসের রাতের বেলায় ‘ইবাদাত করা তথা তারাবীহ সলাত আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান)।
,
★তারাবিহ আর তাহাজ্জুদ নামাজের মধ্যে পার্থক্য হলোঃ
তারাবিহ প্রথম রাত্রিতে পড়তে হয়। তা বিশ রাকাত এবং এগুলো সুন্নতে মুআক্কাাদা। আর তাহাজ্জুদ শেষ রাত্রিতে পড়তে হয়, তা নফল।
তারাবিহ নামাজ ২০ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
ওযর বশত কখনো কম পড়া যাবে।
,
তবে কম পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা গুনাহ।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এ দুইটার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।
(০২)
এমতাবস্থায় আপনি একাকী বা বাসায় তারাবিহ পড়তে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ
তারাবিহ নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মু'আক্কাদা আলাল কেফায়া। কিছু সংখ্যক মসজিদে আদায় করে নিলেই, সবার পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে।অন্যথায় সবাই গোনাহগার হবে।
وَلَوْ تَرَكَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ كُلُّهُمْ الْجَمَاعَةَ فَقَدْ أَسَاءُوا وَأَثِمُوا، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.
যদি কোনো মসজিদের অধিবাসী সবাই জামাতকে ছেড়ে দেয়,তাহলে তারা গুনাহগার হবে।
,
আরো জানুনঃ