আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আস্সালামু আলাইকুম।
গতকাল ( 7 এপ্রিল,2021) সন্ধ্যায়, এখানে একটি প্রশ্ন করেছিলাম। **সুদের টাকায় সাওম পালন সম্পর্কে**। ঐ প্রশ্নের প্রেক্ষিতে শ্রদ্ধেয় মুফতি যে উত্তর দিয়েছেন তা আমার কাছে অস্পষ্ট।

বিশেষত, কয়েকটি পয়েন্ট একদম বুঝিনি।
1. সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ কি?
2. ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ কি?

উত্তরের শেষের অংশে মূলধন থেকে খরচ করার কথা বলেছেন। তবুও সুদ গ্রহণ না করতে বলেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো-
"মূলধন ব্যবহার করতে থাকলে তো একসময় শেষ হয়ে যাবে। তখন তো আর তাদের কোনো উপায় থাকবে না।"

আর সুদের টাকায় সাওম পালন জায়েজ হবে কিনা এই বিষয়টাও আমার কাছে একদম অস্পষ্ট। আসলে আমি বুঝতে পারিনি বিষয়গুলো।

তাই সম্মানীয় উত্তরদাতাগণের কাছে আমার অনুরোধ যে, আমার জিজ্ঞাসাটি পুনঃ বিবেচনা করবেন এবং ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।
জা-ঝা কুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
করুন- https://www.ifatwa.info/13929 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তিদের জন্য সুদ খাওয়া কখনো জায়েয হবে না। কেননা তাদের নিকট মূলধন অবশিষ্ট আছে। কোনো ইবাদত কে বাহ্যিক সকল শর্তাদির সাথে পালন করে নিলে সেই ইবাদত কে আদায় হিসেবেই ধরে নেয়া হবে। তবে আল্লাহর কাছে কবুল হবে কি না? তা আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

অর্থাৎ
(১)সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ করা জরুরত হলে জায়েয।নতুবা হারাম।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13569

(২) ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করা হারাম। মুলধন থেকে খরচ করা হবে।শেষ হয়ে গেলে সে কাজ করে খাবে। তবে যদি এমন হয় যে,সে বৃদ্ধ বা মহিলা,উপার্জনে অক্ষম,তাহলে সে নিজ প্রয়োজন পুরা করা পর্যন্ত সুদ গ্রহণ করতে পারবে। প্রয়োজন অতিরিক্ত সুদ সে গ্রহণ করতে পারবে না।


এখন আসি, আপনার মূল জবাবে,
সুদ খেলে, রোযা হয়নি,এমনটা বলা যাবে না। কোনো ইবাদতকে তার শর্ত পূরণ করে,পালন করে নিলে,সেই ইবাদত দুনিয়ার বিধানে আদায় হয়ে যাবে। অর্থাৎ আরো পরিস্কার করে বলতে চাই,সুদ খেলো রোযা ফাসিদ হবে না।বরং ফাতাওয়া এটাই দেয়া হবে যে,রোযা আদায় হবে।আল্লাহ কার ইবাদতকে কবুল করবেন,সেটা আল্লাহ-ই ভালো জানেন। যদি আরেকটু পরিস্কার করে বলি তাহলে বলবো যে, কাযাআন রোযা হবে।উনার সকল প্রকার ইবাদত কবুল হবে। তবে দিয়ানাতান, কবুল না হওয়াই যক্তি সংগত মনে হচ্ছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...