বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তিদের জন্য সুদ খাওয়া কখনো জায়েয হবে না। কেননা তাদের নিকট মূলধন অবশিষ্ট আছে। কোনো ইবাদত কে বাহ্যিক সকল শর্তাদির সাথে পালন করে নিলে সেই ইবাদত কে আদায় হিসেবেই ধরে নেয়া হবে। তবে আল্লাহর কাছে কবুল হবে কি না? তা আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
অর্থাৎ
(১)সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ করা জরুরত হলে জায়েয।নতুবা হারাম।
(২) ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করা হারাম। মুলধন থেকে খরচ করা হবে।শেষ হয়ে গেলে সে কাজ করে খাবে। তবে যদি এমন হয় যে,সে বৃদ্ধ বা মহিলা,উপার্জনে অক্ষম,তাহলে সে নিজ প্রয়োজন পুরা করা পর্যন্ত সুদ গ্রহণ করতে পারবে। প্রয়োজন অতিরিক্ত সুদ সে গ্রহণ করতে পারবে না।
এখন আসি, আপনার মূল জবাবে,
সুদ খেলে, রোযা হয়নি,এমনটা বলা যাবে না। কোনো ইবাদতকে তার শর্ত পূরণ করে,পালন করে নিলে,সেই ইবাদত দুনিয়ার বিধানে আদায় হয়ে যাবে। অর্থাৎ আরো পরিস্কার করে বলতে চাই,সুদ খেলো রোযা ফাসিদ হবে না।বরং ফাতাওয়া এটাই দেয়া হবে যে,রোযা আদায় হবে।আল্লাহ কার ইবাদতকে কবুল করবেন,সেটা আল্লাহ-ই ভালো জানেন। যদি আরেকটু পরিস্কার করে বলি তাহলে বলবো যে, কাযাআন রোযা হবে।উনার সকল প্রকার ইবাদত কবুল হবে। তবে দিয়ানাতান, কবুল না হওয়াই যক্তি সংগত মনে হচ্ছে।