ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুসাল্লির এমন নড়াচড়া যা নামায পরিপন্থী, তা দু-ভাগে বিভক্ত-
(ক)পরিমাণে সামান্য, যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে ক্বালীল' বলা হয়ে থাকে।
(খ)পরিমাণে বেশী যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে কাসির' বলা হয়ে থাকে।
নামাযরত অবস্থায় মুসাল্লির কোনো প্রকার হারকাত/নড়াচড়া 'আ'মলে কাছির' বলে প্রমাণিত হলে,উক্ত মুসাল্লির নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হয়ে যাবে।
নামাযে তিন তাসবীহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৭৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ ও ১/৪৫৬
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু রা’ফে ইয়াদাইন এর মুস্তাহাব বিধান নিয়ে উলামদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে, তাই রা’ফে ইয়াদাইন কে আ’মলে কাছির বলা যাবে না। সুতরাং রা’ফে ইয়াদাইন করার কারনে নামায ফাসিদ হবে না। এবং ইখতেলাফপূর্ণ স্থানে রা’ফে ইয়াদাইন করার কারণে সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না। হ্যা এমন স্থানে কেউ রা’ফে ইয়াদাইন করলে, যেখানে রা’ফে ইয়াদাইনের প্রবক্তা কোনো ফকিহ নন, এবং সেখানে যদি কেউ তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় নিয়ে রাফে ইয়াদাইন করে থাকে, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। ওয়াক্ত চলে গেলে এই সাহু সিজদা ওয়াজিব সম্ভলিত নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না।