আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in সালাত(Prayer) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি নামাযের মধ্যে ভুলবশত এমন জায়গায় হাত তুলেছি যেখানে হাত তোলা জায়েয নেই এবং এটা নামাযের মধ্যে অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে।আমি অজ্ঞতাবশত এই ভুল করেছি এবং আমার ভুলটা আল্লাহর রহমতে বুঝতে পেরেছি।কিন্তু আমি কতদিন এই ভুল করেছি সেটা ঠিক বলতে পারছি না,১-২ বছর হতে পারে।এখন কী আমার সব নামায বাতিল হয়ে যাবে এবং আমার করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুসাল্লির এমন নড়াচড়া যা নামায পরিপন্থী, তা দু-ভাগে বিভক্ত-
(ক)পরিমাণে সামান্য, যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে ক্বালীল' বলা হয়ে থাকে।
(খ)পরিমাণে বেশী যাকে শরয়ী পরিভাষায়  'আ'মলে কাসির' বলা হয়ে থাকে।
নামাযরত অবস্থায় মুসাল্লির কোনো প্রকার হারকাত/নড়াচড়া 'আ'মলে কাছির' বলে প্রমাণিত হলে,উক্ত মুসাল্লির নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হয়ে যাবে।
আ'মলে কাছির নির্ণয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মধ্য যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।যথা- বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/445

নামাযে তিন তাসবীহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৭৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ ও ১/৪৫৬

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু রা’ফে ইয়াদাইন এর মুস্তাহাব বিধান নিয়ে উলামদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে, তাই রা’ফে ইয়াদাইন কে আ’মলে কাছির বলা যাবে না। সুতরাং রা’ফে ইয়াদাইন করার কারনে নামায ফাসিদ হবে না। এবং ইখতেলাফপূর্ণ স্থানে রা’ফে ইয়াদাইন করার কারণে সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না। হ্যা এমন স্থানে কেউ রা’ফে ইয়াদাইন করলে, যেখানে রা’ফে ইয়াদাইনের প্রবক্তা কোনো ফকিহ নন, এবং  সেখানে যদি কেউ তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় নিয়ে রাফে ইয়াদাইন করে থাকে, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। ওয়াক্ত চলে গেলে এই সাহু সিজদা ওয়াজিব সম্ভলিত নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...