ইমামের উভয় সালামে মুক্তাদী, ফেরেশতা ও নামাযী জ্বিনদের প্রতি সালাম করার নিয়ত করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ৪৩১)
মুক্তাদীগণের উভয় সালামে ইমাম, অন্যান্য মুসল্লী, ফেরেশতা ও নামাযী জ্বিনদের প্রতি সালাম করার নিয়ত করা।(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৩১৪৯, ৩১৫২)
একাকী নামাযী ব্যক্তি শুধু ফেরেশতাগণের প্রতি সালাম করার নিয়ত করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৩১৪০)
★সালাম ফিরানোর সময় দৃষ্টি কেবলার দিকে রাখবেনা।
বরং ডান দিকে সালাম ফিরানোর সময় চেহারা ডান দিকে বের করে দিবে,যাতে ডান গাল দেখা যায়,ঐ ভাবে বাম দিকে সালাম ফিরানোর সময় চেহারা বাম দিকে বের করে দিবে,যাতে বাম গাল দেখা যায় ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، عَنْ ابْنِ دَاوُدَ يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ دَاوُدَ الْخُرَيْبِيَّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ خَدِّهِ عَنْ يَمِينِهِ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، وَعَنْ يَسَارِهِ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ»
আব্দুল্লাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারার শুভ্রতা দেখছি। তিনি ডান দিকে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ এবং বাম দিকে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম ফিরাতেন।
(নাসায়ী ১৩২২)
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ حَتَّى يَبْدُوَ بَيَاضُ خَدِّهِ، وَعَنْ يَسَارِهِ حَتَّى يَبْدُوَ بَيَاضُ خَدِّهِ»
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান দিকে সালাম ফিরাতেন, তখন তাঁর চেহারার শুভ্রতা দেখা যেত। আর যখন বাম দিকে সালাম ফিরাতেন তখনও তাঁর চেহারার শুভ্রতা দেখা যেত।
(নাসায়ী ১৩২৩)
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ " كَانَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، حَتَّى يُرَى بَيَاضُ خَدِّهِ مِنْ هَاهُنَا، وَبَيَاضُ خَدِّهِ مِنْ هَاهُنَا "
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর ডান দিকে এবং বাম দিকে সালাম ফিরাতেন, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ বলে তখন তাঁর চেহারার শুভ্রতা দেখা যেত, এদিক থেকে এবং ওদিক থেকে।
(নাসায়ী ১৩২৪)
ویحول في التسلیمۃ الأولیٰ وجہہ عن یمینہ حتی یری بیاض خدہ الأیمن، وفي التسلیمۃ الثانیۃ عن یسارہ حتی یری بیاض خدہ الأیسر، وفي القنیۃ: وہو الأصح۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۷۶-۷۷)
এই দোয়া পাঠ করবেনঃ
رَبّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي، وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي، وَاحْلُلْ عُقْدَةً مّن لّسَانِي، يَفْقَهُوا قَوْلِي
হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।
এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
নিয়মিত এই দোয়াটি পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ মুখের জড়তা দূর হবে।
,
বৈধ রুকইয়ার মাধ্যমে পয়সা,চাটকি ইত্যাদি পড়িয়ে সেটি জিহবায় নিয়মিত রেখে দিতে পারেন।
তাহলে মৃত্যুর কঠিন মুহুর্তে নিজের জবান দিয়ে এমনিতেই মহান আল্লাহর নাম বের হবে,ইনশাআল্লাহ।