হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অশ্ব রোগ ছিল, তাই এ অবস্থায় কিভাবে নামাজ আদায় করবো তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর, যদি না পার তবে বসে কর, তাও যদি না পার তাহলে এক পার্শ্বের উপর আদায় কর।’ (বুখারি ১/৩৭৬)
,
যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৭৬)
,
অসুস্থতার কারণে বসে নামাজ পড়তে অপারগ হলে, শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়বেন। তখন অসুস্থ ব্যক্তির পা কিবলার দিকে করে শোয়াতে হবে। তবে মাথাকে সামান্য ওপরে তুলে শোয়র ব্যবস্থা করতে হবে, যেন চেহারা কিবলার দিকে হয়। এরপর ইশারা করে রুকু-সিজদা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৭৩)
বিস্তারিত জানুনঃ
★শরীয়তের বিধান হলো ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজের মধ্যে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ফরজ।
কেহ যদি ওযর ছাড়াই এই নামাজ গুলো বসে আদায় করে,তাহলে ফরজ তরক করার কারনে তার নামাজই হবেনা।
নফল নামাজ ওযর ছাড়াই বসে আদায় করা যাবে,তবে ছওয়াব অর্ধেক মিলবে।
,
অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য ওযর বশত সব নামাজই বসে আদায় করা জায়েজ আছে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মায়ের হাটুতে ব্যাথা হওয়ার কারনে যদি দাড়িয়ে নামাজ পড়া খুবই কষ্টকর হয়,তাহলে বসে ফরজ সুন্নাত নফল সবই আদায় করতে পারবে।
,
যদি তেমন কষ্টকর না হয়,তাহলে ফরজ এবং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বসে আদায় করবেনা,এগুলো দাড়িয়েই আদায় করতে হবে।
,
তবে নফল নামাজ বসে আদায় করতে পারবে।
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144007200309 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।