বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রকাশ থাকে যে,
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম বলেন,তাজবিদ শিক্ষা করা প্রত্যেকে মুসলমানের উপর ফরযে (আইন)।
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ মুহাস্মদ ইবনে জাযরি রাহ বলেন,
ﻭﺍﻷﺧﺬ ﺑﺎﻟﺘﺠﻮﻳﺪ ﺣﺘﻢ ﻻﺯﻡ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺠﻮﺩ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺁﺛﻢ .
তাজবিদ সহকারে কোরআন শিক্ষা করা অতি অত্যাবশ্যকীয়।তাজবিদ সহকারে যে কুরআন পড়বে না সে গোনাহগার হবে।
কিন্তু উনার ছেলে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ জাযরি এই কবিতার ব্যখ্যায় লিখেন,যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।
আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।
এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)
কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের হাশর হবে, আ'মলনামা লিখক পবিত্রতম ফিরিস্তাদের সাথে। আর যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে আটকে যায় এবং এমন অবস্থায় সে কুরআনকে পড় যে, কুরআনের উচ্ছারণ তার জন্য কষ্টকর লাগে।সে ব্যক্তি দু'টি সওয়াব পাবে।(প্রথম সওয়াব পাবে পড়ার জন্য এবং দ্বিতীয় সওয়াব পাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১১২)দেখুন-(মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-১০/১৭৮)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হাদীসের বর্ণনা 'কুরআন পড়তে আটকিয়ে যাওয়া'
উক্ত হাদীসে বর্ণিত ব্যক্তিটি নিশ্চয় পূর্ণ তাজবিদকে রপ্ত করতে পারেনি কেননা সে তো ঠিকমত পড়তেই পারছেনা বরং পড়তে গিয়ে আটকিয়ে যাচ্ছে।এরপরও সে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দু'টি সওয়াবের অংশীদার হবে।এত্থেকে বুঝা গেল যে, মুস্তাহাব পর্যায়ের তাজবিদকে ছেড়ে দিয়ে কুরআন পড়তে কোনো অসুবিধে নেই।এবং এতে কোনো প্রকার গোনাহও হবে না।হ্যা জরুরী পর্যায়ের তাজবিদ তাকে শিখতে হবে।
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ,বলেন,
হুরুফে মুতাশাবিহাত তথা সামঞ্জস্যশীল হরফ যেমন, ظ. ض ذ .ز س.ص.ث. ط. ت. এর মধ্যকার উচ্ছারণ পার্থক্য জানা ও আদায় করা ফরয।তাছাড়া অন্যান্য কায়েদা যেমন এজহারের কায়দা,এখফার কায়েদা জানা ও সে অনুযায়ী আ'মল করা মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।