শরীয়তের বিধান মতে পুরুস্কার গুলোতে ছবি থাকলে সেগুলো সংরক্ষণ করা নাজায়েয।
হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون
আ’মাশ তিনি মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্ রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)
ছবি হারাম কেন,জানুনঃ
আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ
“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)
عن على رضى الله تعالى عنه قال صنعت طعاما فدعوت النبى صلى الله عليه و سلم فجاء فدخل فراى سترا فيه تصاوير فخرج وقال ان الملكئة لا تدخلو بيتا فيه تصاوير .
অর্থঃ হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, আমি খাদ্য তৈরী করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত দিলাম| হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে, ঘরে প্রবেশ করে প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি পর্দা দেখে, ঘর হতে বের হয়ে গেলেন| এবং বললেন, “নিশ্চয়ই ফেরেশতারা ঐ ঘরে প্রবেশ করেননা, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে|”
[ নাসাঈ শরীফ ২/ ৩০০ ]
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পুরুস্কার গ্রহন করা জায়েজ আছে।
,
(০২)
কেউ নাপাক থাকলেও তার করা কাজ শুদ্ধ হবে।
এতে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই।
সে যা স্পর্শ করবে তা নাপাক হবেনা।
পাক থাকবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ حَائِضٌ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فَيُنَاوِلُهَا رَأْسَهُ وَهِيَ فِي حُجْرَتِهَا .
নাসর ইবনু আলী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তিনি ঋতুমতী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথায় চিরুনি করতেন আর তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফে থাকতেন। সেখান থেকে তার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর তিনি [আয়িশা (রাঃ)] থাকতেন হুজরায়।
সহিহ, বুখারি হাঃ ২৯৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৫৯৪
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا حَائِضٌ .
কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ঋতুমতী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথায় চিরুনি করে দিতাম।
(নাসায়ী ৩৮৯)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বই পড়া জায়েজ আছে,তবে ছবি দেখা জায়েজ নেই।
তার উপর হাত বা অন্য কিছু রেখে পড়া যেতে পারে।
অন্যথায় গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
যদি তাতে ইসলামী আকীদা বহির্ভুত কোনো কিছু না থাকে,তাহলে তাহা শিক্ষা করা জায়েজ আছে।