আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
  1. বেতের নামাজের দোয়া কুনুত পাঠ করার সময় এক পর্যায়ে এম আমি কিছু আয়াত ভুলে গিয়েছিলাম তখন আমি পূর্বের কিছু আয়াত পাঠ করে  পরে আমার মনে হয়েছিল তখন পুরোটা শেষ করলাম  আমার নামাজ কি হয়েছে ?

  2. কারমা বলতে কি কিছু রয়েছে অর্থাৎ কেউ যদি পৃথিবীতে কারো ক্ষতি করে তাহলে কয়েক গুণ  ক্ষতি সে পৃথিবীতে পায় ?

  3. কারিন জিন বলতে কি আসলে কোনো জিন রয়েছে  কি ?  এই ধরনের জ্বীন নাকি মানুষের সাথে সব সময় থাকেন এবং তাকে কুপ্রবৃত্তি দেয় এবং সে দেখতে  সেই মানুষের মতই হয় ?

1 Answer

0 votes
by (566,340 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর কোনো দোয়া পড়া ওয়াজিব। অবশ্য দোয়া কুনুত পড়লে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও আদায় হয়ে যাবে।

 (বুখারি ১/১৩৬, হাদিস : ১০০২, তিরমিজি ১/১০৬, হাদিস : ৪৬৪১ হাসান, ইবনে মাজাহ ১/৮৩, হাদিস : ১১৮২)
.
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
,
(০২)
কারমা বলতে সহজ কথায়, কর্মফল।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
   
ظَهَرَ الۡفَسَادُ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ بِمَا کَسَبَتۡ اَیۡدِی النَّاسِ لِیُذِیۡقَهُمۡ بَعۡضَ الَّذِیۡ عَمِلُوۡا لَعَلَّهُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۴۱﴾

মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদেরকে আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।

অন্য এক আয়াতে এই বিষয়বস্তু এভাবে বর্ণিত হয়েছে, “তোমাদেরকে যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলো তোমাদেরই কৃতকর্মের কারণে। অনেক গোনাহ তো আল্লাহ ক্ষমাই করে দেন।” [সূরা আশ-শূরা: ৩০]
,
উদ্দেশ্য এই যে, এই দুনিয়ায় বিপদাপদের সত্যিকার কারণ তোমাদের গোনাহ; যদিও দুনিয়াতে এসব গোনাহের পুরোপুরি প্রতিফল দেয়া হয় না এবং প্রত্যেক গোনাহর কারণেই বিপদ আসে না। বরং অনেক গোনাহ, তো ক্ষমা করে দেয়া হয়। তবে এটা সত্য যে, সমস্ত গোনাহর কারণে বিপদ আসে না বরং কোন কোন গোনাহর কারণেই বিপদ আসে। দুনিয়াতে প্রত্যেক গোনাহর কারণে বিপদ আসলে একটি মানুষও পৃথিবীতে বেঁচে থাকত না। ভূপৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না; কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন।” [সূরা আন-নাহল: ৬১]

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দিলে ভূ-পৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন।” [সূরা ফাতির: ৪৫] বরং অনেক গোনাহ তো আল্লাহ মাফই করে দেন। যেগুলো মাফ করেন না, সেগুলোরও পুরোপুরি শাস্তি দুনিয়াতে দেন না; বরং সামান্য স্বাদ আস্বাদন করান।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
 কেউ যদি পৃথিবীতে কারো ক্ষতি করে তাহলে কয়েক গুণ  ক্ষতি সে পৃথিবীতে পাবেই,এমন কোনো কথা ইসলামে নেই।
তবে তার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
,
যদি বান্দার হক দুনিয়াতে মাফ করে নেওয়া না হয়,তাহলে আখেরাতে অবশ্যই এর শাস্তি পেতে হবে। 

(০৩)
কারীন জীন মানুষের সাথে থাকে,তারা জিন।
মানুষের মতো নয়।
,  
হাদীস শরীফে তাকে কারীন জ্বীন সংক্রান্ত তথ্য এসেছেঃ 

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ اِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِه قَرِينُه مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُه مِنَ الْمَلَائِكَةِ قَالُوا : وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِيْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي اِلَّا بِخَيْرٍ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্ (শায়ত্বন (শয়তান)) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে জিন্ শায়ত্বনের (শয়তানের) ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না। 

(সহীহ : মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৬৫৮।)
,
বিস্তারিত  জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 268 views
...