(০১)
উল্লেখিত কিতাবে জুম'আর নামাজ কাদের উপর ফরজ,সে সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে ।
" পুরুষ হওয়া-স্ত্রী লোকের উপর জুম্মার নামাজ ওয়াজিব নয়"
,
অর্থাৎ মহিলাদের উপর জুম'আর নামাজ ফরজ নয়,শুধু মাত্র পুরুষদের উপরেই জুম'আর নামাজ ফরজ।
সুতরাং মহিলাগন জোহরের নামাজ আদায় করবে।
,
"আযাদ হওয়া গোলাম লোকের উপর জুম্মার নামাজ ওয়াজিব নয়"
অর্থাৎ যারা গোলাম,(গোলাম বাদীর প্রচলন বর্তমান বিশ্বে নেই,যাদেরকে যুদ্ধের ময়দান থেকে গ্রেফতার করে গোলাম বানানো হয়,বা ক্রয় করা হয় ইত্যাদি। )
তাদের উপর জুম'আর নামাজ ফরজ নয়।
আযাদ তথা স্বাধীন ব্যাক্তিদের উপরেই জুম'আর নামাজ ফরজ।
,
""মুকিম হওয়া মুসাফির ব্যাক্তির উপর জুম্মার নামাজ ওয়াজিব নয়""
অর্থাৎ যারা শরয়ী ভাবে মুসাফির,তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে কোথাও ১৫ দিনের কম থাকার নিয়তে সফর করে,তাদের উপর জুম'আর নামাজ ফরজ নয়।
যারা মুসাফির নয়,তাদের উপরেই জুম'আ ফরজ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حديث طارق بن شهاب رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال :
( الجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسلِمٍ فِي جَمَاعَةٍ إِلاَّ أَربَعَة : عَبدٌ مَملُوكٌ ، أَو امرَأَةٌ ، أَو صَبِيٌّ ، أَو مَرِيضٌ ) رواه أبو داود (1067) وقال النووي في "المجموع" (4/483) : إسناده صحيح على شرط الشيخين ، وقال ابن رجب في "فتح الباري" (5/327) : إسناده صحيح ، وقال ابن كثير في "إرشاد الفقيه" (1/190) : إسناده جيد ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (3111) .
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন জুম'আর নামাজ প্রত্যেকের উপরেই ফরজ,কিন্তু চার ব্যাক্তির উপর ফরজ নয়।
গোলাম,মহিলা,শিশু,অসুস্থ ব্যাক্তি।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো যদি কারো নিকট অপরের আমানত থাকে, আর কোন জালেম যদি তা বলপূর্বক ছিনিয়ে নিতে চায়, তাহলে তা গোপন করার জন্য মিথ্যা বলা ওয়াজেব। অবশ্য এ সমস্ত বিষয়ে সরাসরি স্পষ্টাক্ষরে মিথ্যা না বলে ‘তাওরিয়াহ’ করার পদ্ধতি অবলম্বন করাই উত্তম।
‘তাওরিয়াহ’ হল এমন বাক্য ব্যবহার করা, যার অর্থ ও উদ্দেশ্য শুদ্ধ তথা তাতে সে মিথ্যাবাদী নয়; যদিও বাহ্যিক শব্দার্থে এবং সম্বোধিত ব্যক্তির বুঝ মতে সে মিথ্যাবাদী হয়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জুলুম থেকে বাঁচতে মিথ্যা বিলা জায়েজ আছে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ