আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম,  জনাব, আমার খুব রাগ আমি এই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। এবং রাগের সময় মুখে কিছু বলতে পারিনা মন চায় মারতে। আমি এই বদ সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো? আমি এই জিনিসটা অনুভব করতেছি যে আমার ভিতর যেন অহংকার কাজ করে, আমাকে কেউ কিছু বললেই সাথে সাথেই তিক্ত রিপ্লাই দিয়ে দেই, এটা থেকে মুক্তি পাবো কিভাবে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাগ নিয়ন্ত্রনে থাকা বা রাগকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যান্ত প্রশংসনীয় কাজ।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاء وَالضَّرَّاء وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। (সূরা আলে-ইমরান-১৩৪)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে 
وَالَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُوا هُمْ يَغْفِرُونَ
যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে, (আশ-শুআরা-৩৭)

রাগ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ও ত্বরিকা নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস লক্ষ্যণীয়--
সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَجُلَانِ يَسْتَبَّانِ فَأَحَدُهُمَا احْمَرَّ وَجْهُهُ وَانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنِّيْ لَاعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ لَوْ قَالَ أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ فَقَالُوْا لَهُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ فَقَالَ وَهَلْ بِيْ جُنُوْنٌ
 তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন দু’জন লোক গালাগালি করছিল। তাদের এক জনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগগুলো ফুলে গিয়েছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এমন একটি দু’আ জানি, যদি এ লোকটি তা পড়ে তবে তার রাগ দূর হয়ে যাবে। সে যদি পড়ে আ‘ঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তান’’-আমি শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। তবে তার রাগ চলে যাবে। তখন তাকে বলল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি আল্লাহর নিকট শয়তান থেকে আশ্রয় চাও। সে বলল, আমি কি পাগল হয়েছি? (৬০৪৮, ৬১১৫) (মুসলিম ৪৫/৩০ হাঃ ২৬১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৪৯)সহীহ মুসলিম-২৬১০,ফাতহুল বারী-৬/৩৩৭)


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
وقال صلى الله عليه وسلم : إذا غضب الرجل فقال أعوذ بالله ، سكن غضبه 
যখন কোনো মানুষ রাগান্বিত হয়,তখন যেন সে বলে,আউযু বিল্লাহ।নিশ্চয় তার রাগ নিস্তেজ হয়ে যাবে।(জামে সগীর-৬৯৫)

চুপ থাকলে রাগ কমে যায়,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( إذا غضب أحدكم فليسكت ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যখন কেউ রাগান্বিত হয়,তখন সে যেন চুপ থাকে।(মসনদে আহমদ-১/৩২৯,সহীহুল জামে-৬৯৩,৪০২৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...