আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
294 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১. আমার আম্মার কাছ হতে শুনলাম, তাদের ছোটবেলায় গ্রামের কিছু মাদবররা বলতে চাচ্ছিল যে, বাসার ছাদে ওঠা যাবে না সেটা হাদিসে আছে? এটা কি সত্য কিছু না বানোয়াট?  ছাদে উঠলে কোন সমস্যা আছে কি?

২. বিশ্ববিদ্যালয় এর পরীক্ষার ক্ষেত্রে, মনে করেন, কোন ছাত্র ৮ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিল। এতে সে যদি সব গুলো বা ১ এর অধিক এ চান্স পায় তবুও ত সে যেকোনো ১টায় ভর্তি হবে। এতে করে সে যে বাকি গুলোতে পরীক্ষা দিল তার ফলে কি সেই আসনে অন্য কোন ছাত্রকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে কি তার হক নষ্ট কঅরল? মানে, সে কোথায় চান্স পাবে সে তা জানে না কিন্তু যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পাওয়ার পরেও সে যদি ভর্তি না হয় এতে কি অই স্থান ফাকা হওয়ায় তার কি গুনাহ হবে?

৩. কাফের মুশরিক কেউ যদি আমার ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা বিরোধীতা না করে তাহলে তার সাথে কি বন্ধুত্ব জায়েজ? না জায়েজ হলে ভালো ভাবে কথা বললে মনের কথা বললে হাসি মজা করলে কি কুফরি হবে?
৪. প্রয়োজন ব্যতীত কাফের দেশে যাওয়া নিষেধ। কিন্তু কেউ যদি অন্য কোন মুসলিম দেশে যেয়ে স্থায়ী ভাবে থাকে? আবার দেশটিতে মুসলমান এর আধিক্য হলেও সংবিধান মতে ধর্মনিরপেক্ষ হলে সেখা যাওয়া থাকা কাজ করা জায়েজ?

৫. কেউ নিজ দেশের বিভিন্ন শহর ভ্রমণ করতে চাইলে সেটা কি নাজায়েজ?  বা নিজ শহর ছেড়ে অন্য শহরে চাকরি বা পড়াশোনা করার উদ্দেশ্য অথবা শখের বশে থাকা শুরু করা কি নাজায়েজ কিছু? আল্লাহর সৃষ্টি এই পৃথিবী ঘুরে দেখার উদ্দেশ্য এ ভ্রমণ নাজায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
“বাসার ছাদে ওঠা যাবে না” এ মর্মে কোনো হাদীস নেই। তবে মেয়েদের জন্য অযথা বাসার ছাদে না উঠাই কাম্য। কেননা তাতে পর্দার লঙ্গন হতে পারে। হ্যা পর্দাকে ঠিক রেখে মহিলারা বাসার ছাদে উঠতে পারবে। এবং পুরুষরা বাসার ছাদে উঠলে পাশের বাসার জানালার দিকে দৃষ্টি দেয়া যাবে না। 

(২)
কোন  বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার অর্থ  এ নয় যে, উক্ত প্রতিষ্টানে যতজন ছাত্র পরীক্ষা দিবে, সবাইকে প্রতিষ্টান ভর্তি করে নেবে। বরং নির্দিষ্ট কৌটায় উত্তীর্ণদেরকেই শুধুমাত্র ভর্তি করা হবে। প্রতিষ্টান বা বাংলাদেশের নিয়ম যেহতেু এটাই যে, একজন ছাত্র একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে, তাই যেকোনো ছাত্র একাধিক প্রতিষ্টানে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে হক নষ্ট করার প্রশ্ন আসবে না, এজন্য যে, যখন ঐ ছাত্র কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে, তখন তার স্থানে ওয়াটিংয়ে থাকা ছাত্ররা ভর্তির সুযোগ পাবে। ভর্তি পরীক্ষায় কিছু ছাত্র তার কারণে সুযোগ পায়নি এ প্রশ্ন করা যাবে না। কেননা প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এত অধিক সংখ্যক ছাত্র ভর্তি পরীক্ষা দেয় যে, এ দুয়েক স্যখ্যা কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না। 

(৩)
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আলে ইমরান-২৮)
কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দীক্ষিত করতে,বা কোনো প্রভাবশালী অমুসলিমের ক্ষতি থেকে নিজেকে হেফাজত করতে তার সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যায়,তবে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন কখনো জায়েয হবে না। চায় উক্ত অমুসলিম মুসলমানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকুক বা না থাকুক।  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2870

(৪)
অমুসলিম দেশ যেখানে ইসলাম সংখ্যালগু ইসলামের বিধি- বিধান ও আলামতের চেয়ে অমুসলিমের আলামত বেশী, মূলত সেই দেশ সম্পর্কে বলা হয় যে, এমন দেশে স্থায়ী নিবাস গড়া নিষেধ। তবে কোথাও মুসলমান সংখ্যাধিক্য হলে, সেখানে স্থায়ী নিবাস গড়া নাজায়েয হবে না। 

(৫)
আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। ( সূরা আনকাবুত-২০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ দেশের বিভিন্ন শহর ভ্রমণ করতে চাইলে সেটা অবশ্যই জায়েয।  নিজ শহর ছেড়ে অন্য শহরে চাকরি বা পড়াশোনা করার উদ্দেশ্য অথবা শখের বশে সফর করা যাবে। এমনকি অমুসলিম দেশের শহরেও সফর করা যাবে, তবে স্থায়ীভাবে নিবাস গড়া যাবে না। আল্লাহর সৃষ্টি এই পৃথিবী ঘুরে দেখার উদ্দেশ্য এ ভ্রমণ জায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শেষ উত্তরে বলেছেন, অন্য শহরে স্থায়ী নিবাস গড়া যাবে না। কেন? আমি ঢাকার হলে কিন্তু সিলেটে স্থায়ী হলে নাজায়েজ কেন হবে? আপ্নারা ত বললেন মুসলিম সংখ্যাধিক হলে সে দেশে স্থায়ী নিবাস গড়া যকবে। তাহলে নিজ দেশেই অন্য শহরে স্থায়ী বসবাস নাজায়েজ কেন???? ৪, ৫ নং উত্তর এর আলোকে বলেন....
by (590,550 points)
আবার একটু কষ্ট করে পড়ে নেন। জাযাকাল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...