ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
“বাসার ছাদে ওঠা যাবে না” এ মর্মে কোনো হাদীস নেই। তবে মেয়েদের জন্য অযথা বাসার ছাদে না উঠাই কাম্য। কেননা তাতে পর্দার লঙ্গন হতে পারে। হ্যা পর্দাকে ঠিক রেখে মহিলারা বাসার ছাদে উঠতে পারবে। এবং পুরুষরা বাসার ছাদে উঠলে পাশের বাসার জানালার দিকে দৃষ্টি দেয়া যাবে না।
(২)
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার অর্থ এ নয় যে, উক্ত প্রতিষ্টানে যতজন ছাত্র পরীক্ষা দিবে, সবাইকে প্রতিষ্টান ভর্তি করে নেবে। বরং নির্দিষ্ট কৌটায় উত্তীর্ণদেরকেই শুধুমাত্র ভর্তি করা হবে। প্রতিষ্টান বা বাংলাদেশের নিয়ম যেহতেু এটাই যে, একজন ছাত্র একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে, তাই যেকোনো ছাত্র একাধিক প্রতিষ্টানে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে হক নষ্ট করার প্রশ্ন আসবে না, এজন্য যে, যখন ঐ ছাত্র কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে, তখন তার স্থানে ওয়াটিংয়ে থাকা ছাত্ররা ভর্তির সুযোগ পাবে। ভর্তি পরীক্ষায় কিছু ছাত্র তার কারণে সুযোগ পায়নি এ প্রশ্ন করা যাবে না। কেননা প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এত অধিক সংখ্যক ছাত্র ভর্তি পরীক্ষা দেয় যে, এ দুয়েক স্যখ্যা কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না।
(৩)
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আলে ইমরান-২৮)
কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দীক্ষিত করতে,বা কোনো প্রভাবশালী অমুসলিমের ক্ষতি থেকে নিজেকে হেফাজত করতে তার সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যায়,তবে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন কখনো জায়েয হবে না। চায় উক্ত অমুসলিম মুসলমানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকুক বা না থাকুক। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2870
(৪)
অমুসলিম দেশ যেখানে ইসলাম সংখ্যালগু ইসলামের বিধি- বিধান ও আলামতের চেয়ে অমুসলিমের আলামত বেশী, মূলত সেই দেশ সম্পর্কে বলা হয় যে, এমন দেশে স্থায়ী নিবাস গড়া নিষেধ। তবে কোথাও মুসলমান সংখ্যাধিক্য হলে, সেখানে স্থায়ী নিবাস গড়া নাজায়েয হবে না।
(৫)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। ( সূরা আনকাবুত-২০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ দেশের বিভিন্ন শহর ভ্রমণ করতে চাইলে সেটা অবশ্যই জায়েয। নিজ শহর ছেড়ে অন্য শহরে চাকরি বা পড়াশোনা করার উদ্দেশ্য অথবা শখের বশে সফর করা যাবে। এমনকি অমুসলিম দেশের শহরেও সফর করা যাবে, তবে স্থায়ীভাবে নিবাস গড়া যাবে না। আল্লাহর সৃষ্টি এই পৃথিবী ঘুরে দেখার উদ্দেশ্য এ ভ্রমণ জায়েজ।