আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
recategorized by
আসসালামু আলাইকুম
বিয়ের ব্যাপারে ইস্তিখারা কখন শুরু করা উচিত? প্রস্তাব পাঠানোর আগে? না কথাবার্তা ফাইনাল করার আগে?

আমাদের সমাজে দেখা যায় বিয়ের কথাবার্তা মোটামুটি ফাইনাল, মেয়ে দেখাও হয়ে গেসে এরপর ইস্তিখারা করে। এর উপর ভিত্তি করে উনারা শেষ সিধান্ত নেন? এয়াতা কি উচিত?

নাকি বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর আগেই ইস্তিখারা শুরু করা উচিত।
২। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি লবিং বা ঘুষ ছাড়া কোন চাকরি না হয়, সেক্ষেত্রে কি লবিং বা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়া যাবে? এরপরের উপার্জিত অর্থ কি হালাল হবে? আর যদি যোগ্যতা না থেকে থাকে তবে লবিং বা ঘুষ দিয়ে নেয়া চাকরিতে উপার্জিত অর্থ কি হালাল হবে?
৩। লবিং বা ঘুষ এর ক্ষেত্রে কি একই হুকুম হবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান কাসিরান

1 Answer

+1 vote
by (589,230 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রস্তাব পাঠানোর আগে বা কথাবার্তা ফাইনাল করার পূর্বে যেকোনো সময় ইস্তেখারা করা যাবে।তবে প্রস্তাব পাঠানোর আগেই ইস্তেখারা করে নেয়া উত্তম হবে।

(২)

https://www.ifatwa.info/ 604 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
(এক)
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

(দুই)
ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি লবিং বা ঘুষ ছাড়া কোন চাকরি না হলে তথা নিজ অধিকার প্রতিষ্টার জন্য,নিজেকে জুলুম-নির্যাতন থেকে বাচানোর জন্য ঘুষ দেওয়া জায়েয।চাকুরী নেওয়ার জন্য ঘুষ প্রদান জায়েয।ইনকাম হালাল হজে।তবে অন্যায় কাজের জন্য ঘুষ কখনো জায়েয হবে না।


(৩)
জ্বী,একই হুকুম।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...