ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফরজ, সুন্নাত এবং নফল তিন ধরনের রোজার ক্ষেত্রে , স্ত্রী সহবাসের পর গোসল না করে শুধু নাকে পানি দিয়ে ঘুমিয়ে গেলে, পরদিন ফযরের সময় গোসল করে নিলেও রোজা হবে। রোজা রাখা অবস্থায় যদি, প্রস্রাবের পর শৌচ করার সময় যোনির ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে সাদাস্রাব পরিষ্কার করা হয় তবে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে হাতে পানি থাকলে এবং সেই পানি সম্ভলিত হাত যোনিতে প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবে। সাহরি না খেয়ে রোজা রাখলে রোজা হবে ।যেমন
https://www.ifatwa.info/13237 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সাহরী খাওয়া সুন্নাত। হাদীসে এসেছে-
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»
তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে। (সহীহ বোখারী-১৯২৩,সহীহ মুসলিম ১০৯৫)
عَنْ حَفْصَةَ، قَالَ: قَالَتْ: «تَسَحَّرُوا وَلَوْ بِشَرْبَةٍ مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّهَا قَدْ ذُكِرَتْ فِيهِ دَعْوَةٌ» - «مصنف ابن أبي شيبة»
(2/ 275)
তোমরা সেহরী খাও, যদিও এক ঢোক পানি দ্বারাও হয়, কেননা সেহরির সময় যে দু’আ করা হবে, তা অবশ্যই কবুল হবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ-২/২৭)
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, ‘সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন। (মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬)
রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর যদি কেউ সুবহে সাদিকের সময় ঘুম থেকে না উঠে,এবং সেহরী না খায়,তাহলে সে সেহরী না খেয়েই রোযা রাখবে। কেননা রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর সুবহে সাদিক সেই নিয়তের উপর অতিক্রম হওয়ার দ্বারা নফল রোযা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে রোযা না রাখলে উক্ত নফলের কাযা আদায় করতে হবে। রোযা রাখার জন্য সেহরী খাওয়া জরুরী নয় বরং সুবহে সাদিকের পূর্বে নিয়ত করাই মূল বিষয়।তবে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত নিয়তকে পরিবর্তন করার অবকাশ থাকবে।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-৩/৩০৮)