আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,476 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
ফরজ, সুন্নাত এবং নফল তিন ধরনের রোজার ক্ষেত্রে আমি জানতে চাই যে, স্ত্রী সহবাসের পর গোসল না করে শুধু নাকে পানি দিয়ে ঘুমিয়ে গেলে, পরদিন ফযরের সময় গোসল করে নিলে কি রোজা হবে? রোজা রাখা অবস্থায় যদি, প্রস্রাবের পর শৌচ করার সময় যোনির ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে সাদাস্রাব পরিষ্কার করা হয় তবে রোজা ভেঙে যাবে কিনা? সাহরি না খেয়ে রোজা রাখলে রোজা হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,350 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফরজ, সুন্নাত এবং নফল তিন ধরনের রোজার ক্ষেত্রে , স্ত্রী সহবাসের পর গোসল না করে শুধু নাকে পানি দিয়ে ঘুমিয়ে গেলে, পরদিন ফযরের সময় গোসল করে নিলেও রোজা হবে। রোজা রাখা অবস্থায় যদি, প্রস্রাবের পর শৌচ করার সময় যোনির ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে সাদাস্রাব পরিষ্কার করা হয় তবে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে হাতে পানি থাকলে এবং সেই পানি সম্ভলিত হাত যোনিতে প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবে। সাহরি না খেয়ে রোজা রাখলে রোজা হবে ।যেমন  https://www.ifatwa.info/13237 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সাহরী খাওয়া সুন্নাত। হাদীসে এসেছে-
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»
তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে। (সহীহ বোখারী-১৯২৩,সহীহ মুসলিম ১০৯৫)

عَنْ حَفْصَةَ، قَالَ: قَالَتْ: «تَسَحَّرُوا وَلَوْ بِشَرْبَةٍ مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّهَا قَدْ ذُكِرَتْ فِيهِ دَعْوَةٌ» - «مصنف ابن أبي شيبة»
 (2/ 275)
 তোমরা সেহরী খাও, যদিও এক ঢোক পানি দ্বারাও হয়, কেননা সেহরির সময় যে দু’আ করা হবে, তা অবশ্যই কবুল হবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ-২/২৭)

অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, ‘সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন। (মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬)

রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর যদি কেউ সুবহে সাদিকের সময় ঘুম থেকে না উঠে,এবং সেহরী না খায়,তাহলে সে সেহরী না খেয়েই রোযা রাখবে। কেননা রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর সুবহে সাদিক সেই নিয়তের উপর অতিক্রম হওয়ার দ্বারা নফল রোযা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে রোযা না রাখলে উক্ত নফলের কাযা আদায় করতে হবে। রোযা রাখার জন্য সেহরী খাওয়া জরুরী নয় বরং সুবহে সাদিকের পূর্বে নিয়ত করাই মূল বিষয়।তবে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত নিয়তকে পরিবর্তন করার অবকাশ থাকবে।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-৩/৩০৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 157 views
...