ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্ঞানার্জন সম্পর্কে অসংখ্য আয়াত এবং হাদীসে তাগিদ এসেছে।আপাতত আপনাদের সামনে একটি হাদীস উল্লেখ করছি।হযরত আনাস ইবনে মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ : ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲِّ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪِ ﻭﺳﻠَّﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝَ : ( ﻃَﻠَﺐُ ﺍﻟﻌِﻠْﻢِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔٌ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ) . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ( 224 )
জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
এখণ প্রশ্ন হল কতটুকু জ্ঞানার্জন একজন মুসলমানের উপর ফরয?
এ সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রাহ,বলেনঃ
لَا شَكَّ فِي فَرْضِيَّةِ عِلْمِ الْفَرَائِضِ الْخَمْسِ وَعِلْمِ الْإِخْلَاصِ؛ لِأَنَّ صِحَّةَ الْعَمَلِ مَوْقُوفَةٌ عَلَيْهِ وَعِلْمِ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ وَعِلْمِ الرِّيَاءِ؛ لِأَنَّ الْعَابِدَ مَحْرُومٌ مِنْ ثَوَابِ عَمَلِهِ بِالرِّيَاءِ، وَعِلْمِ الْحَسَدِ وَالْعُجْبِ إذْ هُمَا يَأْكُلَانِ الْعَمَلَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ، وَعِلْمِ الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ وَالنِّكَاحِ وَالطَّلَاقِ لِمَنْ أَرَادَ الدُّخُولَ فِي هَذِهِ الْأَشْيَاءِ
দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ফারাইয(ভিত্তি) তথা কালেমা,নামায,রোযা,হজ্ব,যাকাত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন ফরয। এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই।কেননা উপরোক্ত ফারাইযের উপর আমল করা সে সম্পর্কে জানাশোনা এবং হালাল-হারাম ও রিয়া সম্পর্কে জানাশোনার উপর নির্ভরশীল।কারণ এবাদত কারী রিয়ার কারণে তার কৃত আমলের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।এবং হিংসা-নিন্দা ও অন্যর ভালোতে অপচন্দনীয় মনোভাব সবই আ'মলের সওয়াব বিনষ্টকারী।এমনভাবে যে,যেমনভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে দেয়।এবং ক্রয়-বিক্রয় ও বিবাহ-তালাকে প্রবেশকারী ব্যক্তিবর্গের জন্য সে সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ফরয।
তিনি আরও বলেনঃ-
وَعِلْمِ الْأَلْفَاظِ الْمُحَرَّمَةِ أَوْ الْمُكَفِّرَةِ، وَلَعَمْرِي هَذَا مِنْ أَهَمِّ الْمُهِمَّاتِ فِي هَذَا الزَّمَانِ؛ لِأَنَّك تَسْمَعُ كَثِيرًا مِنْ الْعَوَّامِ يَتَكَلَّمُونَ بِمَا يُكَفِّرُ وَهُمْ عَنْهَا غَافِلُونَ، وَالِاحْتِيَاطُ أَنْ يُجَدِّدَ الْجَاهِلُ إيمَانَهُ كُلَّ يَوْمٍ وَيُجَدِّدَ نِكَاحَ امْرَأَتِهِ عِنْدَ شَاهِدَيْنِ فِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ، إذْ الْخَطَأُ وَإِنْ لَمْ يَصْدُرْ مِنْ الرَّجُلِ فَهُوَ مِنْ النِّسَاءِ كَثِيرٌ.
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরা হারাম সাব্যস্তকারী শব্দাবলী এবং কুফুরীর দিকে ধাবমান শব্দাবলী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয।আমার জীবনের শপথ।বর্তমান সময়ে এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।কেননা তুমি অনেক জনসাধারণকে দেখতে পাবে, যারা হরহামেশা এমন আলাপে লিপ্ত,যার ফলাফল সম্পর্কে তারা পুরোটাই গাফিল।বর্তমান সময়ে সতর্কতাবশত দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দৈনিক একবার ঈমানকে দোহরানো উচিৎ।এবং প্রতি মাসে অন্তত একবার বা দুইবার দুই সাক্ষীর সামনে নতুনকরে নিকাহ করা উচিৎ।স্পর্শকাতর ভুলভ্রান্তি যদিও পুরুষদের থেকে কম সংগঠিত হয়,কিন্তু মহিলাদের থেকে তা অহরহই সংগঠিত হয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1893(১)
প্রশ্নটি পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করুন।
(২) যারা দাওয়াহ কোর্স শিখবে তাদের দাওয়াহ করা ফরজে আইন । বিষয়টা মূলত এমন নয় । বরং সমস্ত উম্মতের উপর ফরযে কেফায়া
(৩)
সহীহ বোখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গোনাহও হতে পারে।
এবং ধোকা দেয়া হারাম।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ
"যে ব্যক্তি ধোকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়" (সহীহ মুসলিম-১০১)আরো জানুন-৬৪৭
সুতরাং এই মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,সরকার জনগণ এমনকি সাধারণ অমুসলিমকেও ধোকা দেয়া যাবে না।তবে আত্মরক্ষার জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখার অনুমোদন রয়েছে।
তাই বলা যায় যে,
(১)
কাউকে ঠকানো বা ধোঁকা দেয়ার নিয়তে বিপিএন ব্যবহার কখনো জায়েয হবে না।
তবে নিজের আত্মরক্ষার জন্য,বা কাজের সুবিধার্থে VPN ব্যবহার করা জায়েয হবে।কিন্তু যদি এমন হয় যে,সার্ভের জন্য বা ভিন্ন কোনো কাজের জন্য কয়েকটি দেশকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়,তাহলে এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশের বাহিরের কারো জন্য বিপিএনকে ব্যবহার করে উক্ত সুবিধাদি গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
(৪) অফিসে যোগাযোগ করবেন।
(৫)ফরজে আইন কোর্স টাতে যেগুলো সাধারণ জীবনে প্রয়োজন সেটা শিখানো হবে, সাথে প্রয়োজনীয় আরো অন্য কিছুও যোগ করে শিখানো হতে পারে।