আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
464 views
in পবিত্রতা (Purity) by (43 points)
আমার পিরিয়ডের  সময়সীমা কখনও নির্দিষ্ট থাকে না।  দেখা যায়,  কোনো মাসে ৩ দিন কোনো  মাসে ৪ দিন কোনো মাসে ৫ দিন হয়। অর্থাৎ,  আগের মাসের হিসাবে আমি গোসল করতে পারি না।  আবার ,  ব্লাড থেমে থেমে আসে ১/২ ওয়াক্ত পর পর।
কখনও দেখা যায় আগে গোসল করে ফেলেছি  সাদা  দেখে।  পরে দেখি আবার ব্লাড আসছে।    এবার ব্লাড বন্ধ হলে আবার গোসল করি। গোসলের ১/২ ওয়াক্ত পর দেখি আবার ব্লাড আসল।  তারপর আবার গোসল করি।
আবার , কখনও   ব্লাড আসবে ভেবে গোসল করি না।  পরে দেখা যায় নামাজ কাযা হয়ে গেছে।
এখন,  গোসল ঠিক কখন করব সেটা কি ঠিকভাবে বলা সম্ভব?  নাকি আমার বারবার এভাবে গোসল করতে থাকতে হবে।  যেহেতু ,  জানিনা যে কখন একচুয়ালি বন্ধ হবে ব্লাড আসা।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
রোযার কাজা পরবর্তীতে আদায় করবে। 

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ শুরু হওয়ার দিন থেকে নিয়ে ১০ দিন পর্যন্ত সময়ের মাঝে সাদা রং ব্যাতিত যেকোনো রং যেমন প্রশ্নে উল্লেখিত স্পষ্ট সাদা নয়,এমন কালারের স্রাব বের হলে সেটি হায়েজ বলেই গন্য হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এমন সমস্যা হলে যদি এই সমস্যা চলতেই থাকে,,,
তাহলে আপনি নামাজের শেষ ওয়াক্তের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত খেয়াল করবেন অপেক্ষা করবেন।
যদি ওয়াক্তের শেষের দিকে এসে আপনি নেপকিন স্পষ্ট সাদা পান,তাহলে আপনি হায়েজ শেষ হয়েছে ধরে নিয়ে দ্রুত গোসল করে ঐ ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে নিবেন।
,
যদি ওয়াক্তের শেষের দিকে এসে আপনি নেপকিন স্পষ্ট সাদা না পান,তাহলে আপনি হায়েজ শেষ হয়নি বলেই ধরে নিবেন।
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় করবেননা।
,
আপনি হায়েজ শেষ হয়েছে ধরে নিয়ে গোসল করে নামাজ পড়ার পর আবার যদি দশ দিনের মধ্যেই রক্ত আসে,তাহলে সেটিও হায়েজ,যেই নামাজ আদায় করেছেন,এটি হায়েজ অবস্থায় আদায় হয়েছে,তবে সেটি সমস্যাকর অবস্থার কারনে মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন।
,
আপনি যদি রক্ত বন্ধ হওয়ার পরেও হায়েজ শেষ হয়নি বলে ধরে নিয়ে গোসল না করেন,নামাজ না পড়েন,পরবর্তীতে যদি আর রক্ত না আসে,তাহলে যে ওয়াক্ত থেকে রক্ত বন্ধ হয়েছিলো,সমস্ত ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় আপনাকে আদায় করতে হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রক্ত বন্ধ হওয়ার পর আপনি যেহেতু নিশ্চিত নন যে আবার হায়েজ আসে কিনা?
তাই আপনি নামাজের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেও যদি আর রক্ত না পান,তাহলে গোসল করে নামাজ আদায় করে নিবেন,পরে আবার রক্ত আসলে এই নামাজের জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার পাঠ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 229 views
0 votes
1 answer 90 views
...