আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in পবিত্রতা (Purity) by (43 points)
আসসালামু আলাইকুম  ওয়া রহমাতুল্লাহ।

ডিসেম্বরের ২ তারিখ পিরিয়ড শুরু হয়েছিল।  ৯ দিন পূর্ণ হওয়ার পর ১১ তারিখ পবিত্র  হয়েছিলাম। তারপর নামাজ শুরু করেছি।

কিন্তু, ১৭-১৮ তারিখ আবার পিরিয়ড শুরু হয়ে গেছে। হিসেব করে তাহারাতের সময় ১৫ দিন পর্যন্ত নামায চালু রেখেছি। অর্থাৎ ১১+১৫ = ২৬ তারিখ আছর পর্যন্ত নামায পড়েছি। তারপর নামায বন্ধ করে দিয়েছি। পিরিয়ড চালু ছিল। কিন্তু  ২৭ তারিখ আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এখন আমার নামাযের হুকুম কী হবে? একটু জরুরি  ভিত্তিতে জানালে ভালো হয়।

উল্লেখ্য, এর আগের মাসগুলোতে আমার পিরিয়ডের নিয়ম ছিল যে, প্রতিমাসেই পিরিয়ড হতো এবং নয়দিন পর সম্পূর্ণ পবিত্রতা আসতো।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহিলাদের ‘হায়েজ’ তথা মাসিক রক্তস্রাবের ওপর শরয়ি বিধানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্নে তিন দিন আর ঊর্ধ্বে ১০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছে   

أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام

রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

 উল্লিখিত দুই সংখ্যার প্রথমটির কম হলে কিংবা দ্বিতীয়টির বেশি হলে তখন তা ‘ইস্তিহাজা’ বা রোগ হিসেবে ধর্তব্য হয়। আর দুই স্রাবের মাঝখানে ১৫ দিন পবিত্র থাকা আবশ্যক। কারো যদি স্রাবের নির্দিষ্ট অভ্যাস থাকে, আর সে কোনো মাসে অভ্যাসের বিপরীত ১০ দিনের পরও রক্ত দেখতে পায়, তাহলে অভ্যাসের ভেতরে আসা রক্তগুলোকে হায়েজ ধরতে হবে এবং অতিরিক্তগুলোকে ইস্তিহাজা।

অনুরূপ কারো যদি এক হায়েজ শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের আগেই আবার রক্ত দেখা দেয়, আর এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে, তাহলে তার এই অনিয়ম চালু হওয়ার আগের হায়েজের অভ্যাস হিসাব করে ঠিক তার ১৫ দিন পরেই দ্বিতীয় হায়েজের সময় শুরু হবে, মাঝে আসা রক্তগুলোকে ইস্তিহাজা ধরতে হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/২৮৯)
,
★শরীয়তের বিধান হলো যদি তুহরের সর্বনিম্ন সীমা হলো পনেরো দিন।
যদি কাহারো এর পূর্বেই আবার রক্ত আসে,তার যদি আগের মাস গুলোতে হায়েজ আসার সময়সীমা নির্ধারণ না থাকে,তাহলে পনেরো দিনের পর থেকে যাহা আসবে,তাকে হায়েজ ধরতে হবে।
পনেরো দিনের মধ্যে যাহা আসবে,তাকে ইস্তেহাজা,অসুস্থতা হিসেবে ধরবে।
(ফাতাওয়ায়ে  হক্কানিয়াহ ২/৮৪৩)
,
আর তার যদি আগের মাস গুলোতে হায়েজ আসার সময়সীমা নির্ধারণ থাকে,তাহলে সেই সময় সীমার আগ পর্যন্ত রক্তগুলোকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে। 
নামাজ আদায় করতে হবে।  
 
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
দুই হায়েজ অথবা নেফাস ও হায়েজের মাঝে তুহরের সর্বনিম্ন সীমা হলো পনেরো দিন।
۔
قال العلامۃعالم بن العلاء الانصاریؒ:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔(الفتاوٰی التاتارخانیۃ: ج؍۱،ص؍۳۲۴،کتاب الحیض)(فتاویٰ حقانیہ :ج؍۲،ص؍۵۶۵)
সারমর্মঃ তুহরের সর্বনিম্ন সীমা হলো পনেরো দিন।
۔

ولورأت الدم بعد اکثرالحیض والنفاس فی اقل مدۃ الطہرفمارأت بعد الاکثران کانت مبتدء ۃ وبعد العادۃ ان کانت معتادۃ استحاضۃ۔(فتاوی ہندیہ۱/۳۷)
তুহরের পনেরো দিনের মধ্যেই যদি রক্ত দেখে,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা। 
উক্ত পনের দিন পরও যদি রক্ত আসে,তাহলে সে যদি প্রাথমিক হায়েজাহ হয়,তাহলে সেই রক্তকে হায়েজ ধরবে।
যদি তার আগের হায়েজ গুলো আসার অভ্যাস  থাকে,তাহলে সেই দিন আসার আগের রক্ত গুলোকে ইস্তেহাজা ধরতে হবে।


قال ابن عابدین:(قولہ والزائد علی اکثرہ اواکثرالنفاس)ای فی حق المبتدء ۃ،اماالمعتادۃ فما زاد علی عادتہا ویجاوزالعشرفی الحیض والاربعین فی النفاس یکون استحاضۃ کما اشارالیہ بقولہ اوعلی العادۃ ۔(شامی۱/۲۸۵)
সারমর্মঃ  যদি তার আগের হায়েজ গুলো আসার অভ্যাস  থাকে,তাহলে সেই দিন আসার আগের রক্ত গুলোকে ইস্তেহাজা ধরতে হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনার আগের মাসগুলোতে  পিরিয়ডের নিয়ম নির্দিষ্ট ছিল যে, প্রতিমাসেই পিরিয়ড হতো এবং নয়দিন পর সম্পূর্ণ পবিত্রতা আসতো।
,
সুতরাং উক্ত দিন আসার আগে যেই রক্ত আসবে,এ সবগুলোকেই ইস্তেহাজা ধরতে হবে।
পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 83 views
...