জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে।
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
রোযার কাজা পরবর্তীতে আদায় করবে।
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ শুরু হওয়ার দিন থেকে নিয়ে ১০ দিন পর্যন্ত সময়ের মাঝে সাদা রং ব্যাতিত যেকোনো রং যেমন প্রশ্নে উল্লেখিত স্পষ্ট সাদা নয়,এমন কালারের স্রাব বের হলে সেটি হায়েজ বলেই গন্য হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এমন সমস্যা হলে যদি এই সমস্যা চলতেই থাকে,,,
তাহলে আপনি নামাজের শেষ ওয়াক্তের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত খেয়াল করবেন অপেক্ষা করবেন।
যদি ওয়াক্তের শেষের দিকে এসে আপনি নেপকিন স্পষ্ট সাদা পান,তাহলে আপনি হায়েজ শেষ হয়েছে ধরে নিয়ে দ্রুত গোসল করে ঐ ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে নিবেন।
,
যদি ওয়াক্তের শেষের দিকে এসে আপনি নেপকিন স্পষ্ট সাদা না পান,তাহলে আপনি হায়েজ শেষ হয়নি বলেই ধরে নিবেন।
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় করবেননা।
,
আপনি হায়েজ শেষ হয়েছে ধরে নিয়ে গোসল করে নামাজ পড়ার পর আবার যদি দশ দিনের মধ্যেই রক্ত আসে,তাহলে সেটিও হায়েজ,যেই নামাজ আদায় করেছেন,এটি হায়েজ অবস্থায় আদায় হয়েছে,তবে সেটি সমস্যাকর অবস্থার কারনে মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন।
,
আপনি যদি রক্ত বন্ধ হওয়ার পরেও হায়েজ শেষ হয়নি বলে ধরে নিয়ে গোসল না করেন,নামাজ না পড়েন,পরবর্তীতে যদি আর রক্ত না আসে,তাহলে যে ওয়াক্ত থেকে রক্ত বন্ধ হয়েছিলো,সমস্ত ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় আপনাকে আদায় করতে হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রক্ত বন্ধ হওয়ার পর আপনি যেহেতু নিশ্চিত নন যে আবার হায়েজ আসে কিনা?
তাই আপনি নামাজের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেও যদি আর রক্ত না পান,তাহলে গোসল করে নামাজ আদায় করে নিবেন,পরে আবার রক্ত আসলে এই নামাজের জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার পাঠ করবেন।