ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু মুসা আশ'আরী রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟﻴﻄَّﻠﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥَ ﻓﻴﻐﻔﺮُ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻟَّﺎ ﻟﻤﺸﺮِﻙ ﺃﻭ ﻣﺸﺎﺣﻦٍ .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আল্লাহ তা'আলা শা'বানের মধ্যরাত্রিতে মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত সকল মু'মিন মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।(সুনানে ইবনে মা'জা-১৩৯০)
ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানি রাহ উক্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন।যেমন বর্ণিত রয়েছে-
ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟﻴﻄَّﻠﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥَ ﻓﻴﻐﻔﺮُ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻟَّﺎ ﻟﻤﺸﺮِﻙ ﺃﻭ ﻣﺸﺎﺣﻦٍ
ﺍﻟﺮﺍﻭﻱ : ﺃﺑﻮ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺍﻟﻤﺼﺪﺭ : ﺻﺤﻴﺢ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺃﻭ ﺍﻟﺼﻔﺤﺔ : 1148 ﺣﻜﻢ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺣﺴﻦ
ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻟَﻴَﻄَّﻠِﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦﺷﻌﺒﺎﻥَ ، ﻓﻴَﻐﻔِﺮ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻻ ﻟﻤﺸﺮﻙٍ ﺃﻭ ﻣُﺸﺎﺣﻦٍ
ﺍﻟﺮﺍﻭﻱ : ﺃﺑﻮ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺍﻟﻤﺼﺪﺭ : ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺃﻭ ﺍﻟﺼﻔﺤﺔ : 1563 ﺣﻜﻢ ﺍﻟﻤﺤﺪﺙ : ﺫﻛﺮ ﻟﻪ ﺷﻮﺍﻫﺪ
ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানি রাহ উক্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন।তিনি (সিলসিলাতুল আহাদিস-সাহিহাহ-৩/২১৮)এ উক্ত সনদের দুর্বলতা উল্লেখ পূর্বক হাদীসের অন্যান্য সনদের ভিত্তিতে হাদীসের মতন তথা হাদীসের শব্দ ও তার মর্মার্থর বিশুদ্ধতা প্রমাণ করে হাদীসকে সহীহ বলেছেন। যেমন বর্ণিত রয়েছে-
ﻭ ﺃﻣﺎ ﺣﺪﻳﺚ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ : ﻓﻴﺮﻭﻳﻪ ﺍﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ ﺃﻳﻀﺎً ﻋﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﺑﻦ ﺳﻠﻴﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﻀﺤﺎﻙ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﻣﻮﺳﻰ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ( ﻧﺤﻮﻩ ) .ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ( 1390 ) ﻭﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﺎﺻﻢ ﺍﻟﻼﻟﻜﺎﺋﻲ .ﻗﻠﺖ : ﻭﻫﺬﺍ ﺇﺳﻨﺎﺩ ﺿﻌﻴﻒ ؛ ﻣﻦ ﺃﺟﻞ ﺍﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ ، ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ، ﻭﻫﻮ ﺍﺑﻦ ﻋﺮﺯﺏ ، ﻭﺍﻟﺪ ﺍﻟﻀﺤﺎﻙ : ﻣﺠﻬﻮﻝ ، ﻭﺃﺳﻘﻄﻪ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻪ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ .
" ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ " ( 3 / 218 )
ফাতাওয়ায়ে শামীতে২/২৪-২৫ এ বর্ণিত রয়েছে-দুই ঈদের রাত এবং শা'বানের মধ্যরাত এবং রমজানের শেষ দশের রাতে জাগরিত থেকে ইবাদত বন্দেগী করা মুস্তাহাব। এই রজনী সমূহের সমস্ত অংশ বা অধিকাংশ অংশজুড়ে ইবাদত-বন্দেগী করা মুস্তাহাব। এই রাত্রি সমূহে পূথক পূথক ভাবে ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে।জামাত বন্দী হয়ে করা যাবে না। নফল মোটকথাঃ নামায,কুরআন তেলায়াত,হাদীস আলোচনা,তাসবিহ, দুরুদ ইত্যাদি পড়ে রাত্রি জাগরণ করা মুস্তাহাব। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1163
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই রাত্রিতে কবর যিয়ারত, নফল ইবাদত, সবকিছুই করা যাবে।এবং করাই মুস্তাহাব। তবে জামাত বন্দী হয়ে বা সাবই মিলে একত্রিত হয়ে কোনো প্রকার ইবাদত করা যাবে না।