জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনি নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নামাজের মধ্যে সাদা স্রাব বের হওয়ার ব্যপারে নিশ্চিত হবেন না, ততক্ষণ পর্যন্ত কেবল সন্দেহের বশে নামাজের মধ্যেই সাদা স্রাব বের হয়েছে বলা যাবে না। হাদীস শরিফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, হে আল্লাহর রাসূল, যদি কোন ব্যক্তি সন্দেহ করে যে, তার নামাযে কিছু বের হয়েছে। উত্তরে তিনি বলেন, لَا يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا নামায ছেড়ে দিবে না, যতক্ষণ না সে আওয়াজ শোনে, অথবা গন্ধ পায়। (বুখারী: ১৩৭)
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজের আগে একবার চেক করবেন,যদি পরিস্কার পান,তাহলে নামাজে দাড়াবেন,নতুবা পরিস্কার করে নামাজে দাড়াবেন। নামাজ শেষে সাথে সাথেই আবার চেক করবেন,যে সাদা স্রাব বের হয়েছে কিনা,যদি বের হয়,তাহলে পবিত্রতা অর্জন করে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
,
আপনি যদি মা'যুর হোন,তাহলে মা'যুরের বিধান অনুযায়ী আপনি প্রতি ওয়াক্তে শুধু একবার অযু করে নিবেন।
উক্ত অযু দিয়ে সেই ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন ,কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন।
,
আরো জানুনঃ
,
(০২)
যদি সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে এমনটি হয়,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
অন্য সুরার ক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ