আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
431 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
reshown by

লুংগি পড়া সুন্নত। কিন্তু আমাদের অনেকেই লুংগির নাম শুনলেই হাসাহাসি করি।

প্রশ্ন ১: না জেনে

প্রশ্ন ২:  এবং বিশেষ করে ""যে  ব্যক্তি জানে লুংগি পড়া সুন্নত, এই ব্যক্তি জেনে শুনে"" 

উভয়ের ক্ষেত্রে এই সুন্নত নিয়ে হাসাহাসি করলে ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে কি না মানে ঈমান চলে যাবে কি ? 

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পুরুষদের জন্য লুঙ্গি,পায়জামা পরিধান করা সুন্নাত।
উভয়টি পরিধান করা সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত ।
যেকোনো একটি পরিধান করলেই সুন্নাত আদায় হয় যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مَطَرُ بْنُ الْفَضْلِ قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ قَالَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْقُلُ مَعَهُمْ الْحِجَارَةَ لِلْكَعْبَةِ وَعَلَيْهِ إِزَارُهُ فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ عَمُّهُ يَا ابْنَ أَخِي لَوْ حَلَلْتَ إِزَارَكَ فَجَعَلْتَ عَلَى مَنْكِبَيْكَ دُونَ الْحِجَارَةِ قَالَ فَحَلَّهُ فَجَعَلَهُ عَلَى مَنْكِبَيْهِ فَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ فَمَا رُئِيَ بَعْدَ ذَلِكَ عُرْيَانًا صلى الله عليه وسلم .

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নবুওয়াতের পূর্বে) কুরাইশদের সাথে কা‘বার (মেরামতের) জন্যে পাথর তুলে দিচ্ছিলেন। তাঁর পরিধানে ছিল লুঙ্গি। তাঁর চাচা ‘আববাস (রাযি.) তাঁকে বললেনঃ ভাতিজা! তুমি লুঙ্গি খুলে কাঁধে পাথরের নীচে রাখলে ভাল হ’ত। জাবির (রাযি.) বলেনঃ তিনি লুঙ্গি খুলে কাঁধে রাখলেন এবং তৎক্ষণাৎ বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। এরপর তাঁকে আর কখনো নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়নি। (বুখারী শরীফ ১৫৮২, ৩৮২৯; মুসলিম ৩/১৯, হাঃ ৩৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৭)

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ الصَّلاَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ فَقَالَ أَوَكُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ ثُمَّ سَأَلَ رَجُلٌ عُمَرَ فَقَالَ إِذَا وَسَّعَ اللهُ فَأَوْسِعُوا جَمَعَ رَجُلٌ عَلَيْهِ ثِيَابَهُ صَلَّى رَجُلٌ فِي إِزَارٍ وَرِدَاءٍ فِي إِزَارٍ وَقَمِيصٍ فِي إِزَارٍ وَقَبَاءٍ فِي سَرَاوِيلَ وَرِدَاءٍ فِي سَرَاوِيلَ وَقَمِيصٍ فِي سَرَاوِيلَ وَقَبَاءٍ فِي تُبَّانٍ وَقَبَاءٍ فِي تُبَّانٍ وَقَمِيصٍ قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ فِي تُبَّانٍ وَرِدَاءٍ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট দাঁড়িয়ে এক কাপড়ে সালাত আদায়ের হুকুম জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের নিকট কি দু’খানা করে কাপড় আছে? অতঃপর এক ব্যক্তি ‘উমার (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ যখন তোমাদের সামর্থ্য দিয়েছেন তখন তোমরাও নিজেদের সামর্থ্য প্রকাশ কর। লোকেরা যেন পুরো পোশাক একত্রে পরিধান করে অর্থাৎ মানুষ লুঙ্গি ও চাদর, লুঙ্গি ও জামা, লুঙ্গি ও কাবা, পায়জামা ও চাদর, পায়জামা ও জামা, পায়জামা ও কাবা, জাঙ্গিয়া ও কাবা, জাঙ্গিয়া ও জামা পরে সালাত আদায় করে। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) বলেন যে, আমার মনে হয় ‘উমার (রাযি.) জাঙ্গিয়া ও চাদরের কথাও বলেছিলেন। (বুখারী ৩৫৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৮)

يُوسُفُ بْنُ عِيسَى قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ سَبْعِينَ مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ مَا مِنْهُمْ رَجُلٌ عَلَيْهِ رِدَاءٌ إِمَّا إِزَارٌ وَإِمَّا كِسَاءٌ قَدْ رَبَطُوا فِي أَعْنَاقِهِمْ فَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ نِصْفَ السَّاقَيْنِ وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ الْكَعْبَيْنِ فَيَجْمَعُهُ بِيَدِهِ كَرَاهِيَةَ أَنْ تُرَى عَوْرَتُهُ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি সত্তরজন আসহাবে সুফফাকে দেখেছি, তাঁদের কারো গায়ে বড় চাদর ছিল না। হয়ত ছিল কেবল লুঙ্গি কিংবা ছোট চাদর, যা তাঁরা ঘাড়ে বেঁধে রাখতেন। (নীচের দিকে) কারো নিস্ফে সাক বা হাঁটু পর্যন্ত আর কারো টাখনু পর্যন্ত ছিল। তাঁরা লজ্জাস্থান দেখা যাবার ভয়ে কাপড় হাত দিয়ে ধরে রাখতেন। (বুখারী ৪৪২,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২৯)

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ وَأَحْيَا لَيْلَهُ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ

. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রমাযানের শেষ দশক আসত তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (মুসলিম ১৪/৩, হাঃ ১১৭৪)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯৪)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শরীয়তের যেই বিধান অকাট্য ভাবে ফরজ হিসেবে প্রমাণিত, সেটি নিয়ে হাসাহাসি করলে ঈমান চলে যাবে।
লুঙ্গি পরিধান করা কোনো ফরজ বিধান নয়,তাই সেটি নিয়ে হাসাহাসি করলে ঈমান চলে যাবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (33 points)
edited by
নআমি টেইলারে প্যান্ট দুটি সেলাই করার সময় টাখনুর উপরে মাপ দিয়ে আসি *মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা পাকের* মহব্বতে, ভালোবাসায়।

(বি:দ্র: সব-ই গুরুত্বপূর্ণ তবে ৪ নাম্ভার বেশী লম্বা হলেও আল্লাহর ওয়াস্তে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন)

সেই প্যান্ট গুলি আজকে বাড়িতে আনলাম। 
বাড়ির একজন আমার প্যান্ট দেখলেন এবং বললেন "এগুলো বেশী খাটো হয়ে গেছে। তাইলে আর জাংগী বানিয়ে নিলে না কেন?""

আমার প্যান্ট এত ছোট নয়।

টাখনুর উপর পর্যন্ত ঠিক-ই কিন্তু উপরের দিক দিয়ে নাভির নিচে মানে কোমর থেকে টাখনুর উপর পর্যন্ত মাপ এবং এরকমভাবে পরিধান করি আর শার্ট দ্বারা নাভি ঢাকা থাকে।   

কিন্তু আমার বাড়ীর ওই আত্নীয়ের এরকম কথায় ঈমান যাওয়ার আশংক আছে কি?

(বি:দ্র: উনি আমার আম্মা। উনি শরীয়ত এবং দুনিয়াবি জ্ঞানে অজ্ঞ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট, উনাকে আগেও বলেছি
"পুরুষদের টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়া হারাম"। উনি জেনেছেন। 
কিন্তু আজ এইরকম কথা, কিভাবে বললেন তা আমার জানা নেই।

অর্থাৎ মনের খবর তো একমাত্র আল্লাহ্ তা'য়ালা জানেন,আমরা তো আর না।

জানি না আমার আম্মা
১. মন থেকে ঘৃনা নিয়ে উপোরক্ত কথা বললেন?
২.না, হাসি টাট্রার ছলে বললেন?
৩.না, আজ যেই সময় বলেছেন,, ঠিক ওই সময় উনি ওই  টাখনুর নিচে কাপড় সম্পর্কিত নবী (সাঃ) এর হাদিস শারীফ ভুলে গিয়ে বলে ফেললেন?))

৪।  বিষয়টি লক্ষ্য করুন, আমি প্যান্ট-গুলি এখনো পড়ি নাই। বাহ্যিক দৃষ্টিতে শরীরে না পরিধান করে,হাতে নিয়ে প্যান্ট দেখতে  খাটো লাগে। কিন্তু আমি বাইরে মাপ নিয়ে মানে প্যান্ট যেভাবে পরিধান করি সেই ভাবে মাপ দিয়ে দেখেছি,,প্যান্ট গুলি (নাভির নিচে থেকে আমি কোমর থেকে প্যান্ট পরিধান করি,আর শার্ট দ্বারা নাভি ঢাকা থাকে)  টাখনুর উপরেই থাকে। 

কিন্তু প্যান্টগুলি না পরিধান করলে বাহির থেকে দেখা যায় প্যান্টগুলি বর্তমান ছেলেরা যেভাবে প্যান্ট টাখনুর নিচে পরিধান করে সেই অনুপাতে খাটো দেখা যায় কিন্ত
আমার প্যান্ট কোমর থেকে টাখনুর উপর পর্যন্ত। বাহ্যিক দৃষ্টিতে খাটও লাগে। যদি আমি নাভির উপর থেকে টাখনুর উপর পর্যন্ত মাপ দিতাম এবং এইভাবে সেলাই করাতাম তাইলে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার হুকুম অইলে প্যানট লম্বা বলতে পুরো পুরি শরীয়ত সম্মত হতো। এবং আমি যদি নাভির উপর থেকে টাখন্য পর্যন্ত প্যান্ট এর মাপ দিয়ে প্যান্ট বানাতাম,তাইলে আল্লাহর হুকুম হইলে প্যান্ট দেখতে লম্বা দেখা যাইত সাথে সাথে আমার আম্মাও এই ধরনের কথা বলতেন না।


উক্ত কথার দ্বারা আমার আম্মার ঈমানে সমস্যা হবে কি? 
(বি:দ্র: আমারোও একটি ভুল হয়েছে,,  আমি টাখনুর উপরে প্যান্ট তৈরী করলেও,, নাভির উপর থেকে মাপ দেই নাই, এজন্য আল্লাহর হুকুম হইলে প্যান্ট দেখতে খাটো লাগতাছে।  এখানে আমার ভুল ছিলো) 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...