আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি আল্লাহর এক গোনাহগার বান্দী।নার্সিং এ পড়াশোনাকালীন দ্বীনে ফিরে। দ্বীনে ফেরাটা ছিলো আমার মালিকের দয়া।

গোনাহগার হওয়া সত্ত্বেও মালিক আমাকে দিয়েছেন দ্বীনের বুঝ আলহামদুলিল্লাহ। দ্বীনে ফেরার এক বছর পর দিয়েছেন সহশিক্ষা ছাড়ার তাওফিক আলহামদুলিল্লাহ।
পরিবারে কারো দ্বীনের বুঝ নেই।সহশিক্ষা ছাড়ার পর থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছি। পরিবার, আত্নীয়স্বজন এর কথার আঘাত, পরিবারের থেকে শারীরিক আঘাত, ভবিষ্যতের ভয়।বেদ্বীন প্রস্তাব আসলে পাত্রের বাবার সামনে যাওয়া নিয়ে ঝামেলা। আবার মারধর আমাকে।অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ। বাসায় নিজেকে বন্দী করে রেখেছি রীতিমতো। কোনো কিছুই আমাকে হতাশ করতে পারিনি সেইভাবে।আল্লাহকে আমি পেয়েছি সবসময় আমার সামনে।

আল্লাহর দয়া ভালোবাসা অসংখ্য বার অনুভব করতেও পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। বারবার দ্বীন পালনে হোঁচট খেলেও আল্লাহর দয়ায় ফিরে এসেছি বারবার আলহামদুলিল্লাহ।
দরুদ পড়ে নবিজির প্রতি অগাধ বিশ্বাস থেকে একদিন নবিজিকে নিয়ে স্বপ্নও দেখেছি আলহামদুলিল্লাহ।
ঘরের কাজ ও করার চেষ্টা করি।আম্মা আব্বার খেদমত করার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু যে বিষয় টা আমাকে বেশকিছু ধরে আমাকে বারবার হতাশ করে দিচ্ছে।তা হলো আমি এক সপ্তাহ খুব ভালো দরুদ ইস্তিগফার তাহাজ্জুদ পড়তে পারি পরে কিছুদিন পর তাহাজ্জুদ মিস পরে।দরুদ ইস্তিগফার কম হলেও নিয়মিত পড়ার তাওফিক আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
বেশকিছু ধরে তাহাজ্জুদ মিস হয় মাঝে মাঝে ফজরের সালাত মিস হয়ে যায় আল্লাহ হেফাজত করুন। এই দুইটা জিনিস আমাকে শেষ করে দিচ্ছেন।

উপরে এতো কিছু বলেছি।কারণ এতো কিছু হলো এতো হতাশ কোনদিন হয়নি।এখন আমার এতো খারাপ লাগে কি বলবো।ফজর মিস তো ঘরের কোন কাজই করতে ইচ্ছে করে না নিজেকে এতো গোনাহগার লাগে। তাহাজ্জুদ মিস হলেও আমি নিতে পারি না।দ্বীনে ফেরার পর থেকে আমি ছিলাম তাহাজ্জুদ এ নিয়মিত। তাহাজ্জুদ ফজরের সালাত নাকি আল্লাহ উনার নেক বান্দাদের পড়ার তাওফিক দেন।এসব লিখা দেখে আমি অনেক হতাশায় ভুগছি।নিজেকে কিছুতেই ঠিক করতে পারছি না।আজকেও পড়েছি কোনরকম ফজরের সালাত। এসব খারাপ লাগা কোনভাবে নিতে পারছি না।

বাসায় একাই সালাত পড়ি আমি।একাই দ্বীন পালন আমার। একা একা দ্বীন পালন করা যে কি কষ্ট এ কি বলবো।মাঝে মাঝে এতো খারাপ লাগে।
বাসায় আর একটা জিনিস খুব বেশি ফেইস করতে হয় তা হচ্ছে গিবত।

**গিবত আমাকে শেষ করে দিলো মনে হয়।বড়দের সাথে কাজ করতে বসলে মানুষের গিবত শুরু হয়ে যায়।কিছু বলেও থামাতে পারি না।২রুমের বাসা হওয়ায় এই সমস্যা আমাকে শেষ করে দিলো।মেহমান আসলে সেই একই সমস্যা না পারি থামাতে না পারি কোথাও উঠে চলে যেতে।মাঝে মাঝে দেখি আমি নিজেই নিজের অজান্তে গিবত করে ফেলেছি।
এতো বয়স হয়ে গেছে বিয়ে হয় না।তবুও এতো খারাপ লাগে না।যতটা জবানের হেফাজত করতে না পারার গোনাহ।আর তাহাজ্জুদ, ফরজের সালাত মিস হলে খারাপ লাগে কি বলবো

হতাশা আমাকে মেরে ফেলছে।গোনাহ হলে আমি আমার মালিকের কাছে কান্নাকাটি করে কিন্তু দিনটা যায় আমার এতো খারাপ। কি করবো আমি? সালাত মিস, গিবত, হতাশা আমাকে শেষ করে দিল।

সহশিক্ষা ছাড়ার পর আমার ইলম অর্জন ও বন্ধ। এক মাস ফোন দেয় নি আমাকে।কিছু দিন পর পর ঝামেলা হলেই ফোন নিয়ে নেন।এসব কিছু নিয়ে আমার খারাপ লাগে না।আমি যে আল্লাহর প্রিয় বান্দী হতে পারছি না।তাহাজ্জুদ ফজর মিস হলে এইবিষয় শেষ করে দিল আমাকে।আল্লাহ হেফাজত করুন

1 Answer

+1 vote
by (731,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নেককার লোকদের সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন। একজন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির সাথে কিছুদিন রাত-দিন সকাল-সন্ধ্যা অতিবাহিত করবেন। উনাকে ফলো করে করে তারপর নিজের ঈমান আমলকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া তাবলীগ জামাতেও সময় লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা যেতে পারে। আপনি যেহতু নারী তাই আপনার প্রতি বিশেষ পরামর্শ হল, নেককার মহিলার সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন। মহিলা সাহাবিদের জীবন ইতিহাস পড়বেন। বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করবেন। ও আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 433 views
...