বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নারী-পুরুষের পৃথক পৃথক যানবাহন হওয়াই উচিৎ ছিলো।যে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিলো সরকার মহলের।সে জন্য এর জবাবদিহিতা সরকারকেই করতে হবে।এবং এমন মন-মানষিকতা সম্পন্ন সরকার কেন আমরা সবাই গঠন করিনি,সেজন্য আমাদের সবাইকে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে আবার এক খলিফার অধিনে কুরআনি শাষনে নিয়ে আসুক,আমীন।
যাইহোক,যেহেতু ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্টার প্রধানতম দায়িত্ব পুরুষের,সেটা যখন সম্ভব হয়নি, তাই অন্তত যানবাহনে মহিলার জন্য সিট ছেড়ে দেয়ার কাজটা পালন করা পুরুষ দায়িত্ব ও একান্ত কর্তব্য।
তাছাড়া শারিরিক গঠন হিসেবেও যানবাহনে পুরুষের জন্য দাড়িয়ে যাওয়াটা যুক্তিসংগত। তাই দুজনি কোনো সিটে প্রথমেই কোনো নারী বসে থাকলে সেখানে অন্য কোনো নারীকে বসতে দেয়াই উচিৎ।যদি অন্যকোনো নারী না বসে,তাহলে সেটা খালি ছেড়ে দেয়াই উচিৎ।পুরুষ দাড়িয়ে যাবেন। অন্যদিকে কোনো দুজনি সিটে প্রথমেই কোনো পুরুষ বসে থাকলে পুরুষের উচিৎ নিজে দাড়িয়ে মহিলাকে বসতে দেয়া।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/309
গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/573
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাস বা যাত্রাপথের নামায যেহেতু জরুরতের তাকাযা বশত হয়ে থাকে, এবং উক্ত নামাযকে পরবর্তীতে দুহড়াতে হতে হয়, তাই উক্ত নামাযকে পুরুষ যাত্রী পাশে থাকলেও ইশারার মাধ্যমে পড়ে নিতে হবে।
সম্পর্ক নেই এমন পুরুষ তথা গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে নারীদের জন্য নামায পড়া কখনো জায়েয হবে না। চায় সম্পূর্ণ পর্দার সাথেই হোক না কেন? কেননা পর্দা সর্বদা-ই ফরয। হ্যা যাত্রাপথে জরুরতের তাকাযায় পর-পুরুষের সামনে নামায পড়ার অনুমোদন রয়েছে। বাড়িতে থাকাবস্থায় নামাযরত অবস্থায় যদি বিপরিত লিঙ্গের কেউ একজন নামাযীর কাধ বরাবর দাড়ায়. তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।