আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
511 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
বাসে কোন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গেলে নামাজের ওয়াক্ত হলে অযু থাকলে আশেপাশে পুরুষ যাত্রী থাকলেও কি বাসের সিটে বসে মেয়েরা নামাজ পড়া যাবে? সম্পর্ক নেই এমন পুরুষদের সামনে বাড়িতে কি নামাজ পড়া যাবে? পূর্ণ পর্দা থাকা সত্বেও কি এভাবে নামাজ পড়া যাবে যাত্রাপথে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নারী-পুরুষের পৃথক পৃথক যানবাহন হওয়াই উচিৎ ছিলো।যে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিলো সরকার মহলের।সে জন্য এর জবাবদিহিতা সরকারকেই করতে হবে।এবং এমন মন-মানষিকতা সম্পন্ন সরকার কেন আমরা সবাই গঠন করিনি,সেজন্য আমাদের সবাইকে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে আবার এক খলিফার অধিনে কুরআনি শাষনে নিয়ে আসুক,আমীন।

যাইহোক,যেহেতু ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্টার প্রধানতম দায়িত্ব পুরুষের,সেটা যখন সম্ভব হয়নি, তাই অন্তত যানবাহনে মহিলার জন্য সিট ছেড়ে  দেয়ার কাজটা পালন করা পুরুষ দায়িত্ব ও একান্ত কর্তব্য।
তাছাড়া শারিরিক গঠন হিসেবেও যানবাহনে পুরুষের জন্য দাড়িয়ে যাওয়াটা যুক্তিসংগত। তাই দুজনি কোনো সিটে প্রথমেই কোনো নারী বসে থাকলে সেখানে অন্য কোনো নারীকে বসতে দেয়াই উচিৎ।যদি অন্যকোনো নারী না বসে,তাহলে সেটা খালি ছেড়ে দেয়াই উচিৎ।পুরুষ দাড়িয়ে যাবেন। অন্যদিকে কোনো দুজনি সিটে প্রথমেই কোনো পুরুষ বসে থাকলে পুরুষের উচিৎ নিজে দাড়িয়ে মহিলাকে বসতে দেয়া।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/309

গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/573

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাস বা যাত্রাপথের নামায যেহেতু জরুরতের তাকাযা বশত হয়ে থাকে, এবং উক্ত নামাযকে পরবর্তীতে দুহড়াতে হতে হয়, তাই উক্ত নামাযকে পুরুষ যাত্রী পাশে থাকলেও ইশারার মাধ্যমে পড়ে নিতে হবে। 

সম্পর্ক নেই এমন পুরুষ তথা গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে নারীদের জন্য নামায পড়া কখনো জায়েয হবে না। চায় সম্পূর্ণ পর্দার সাথেই হোক না কেন? কেননা পর্দা সর্বদা-ই ফরয। হ্যা যাত্রাপথে জরুরতের তাকাযায় পর-পুরুষের সামনে নামায পড়ার অনুমোদন রয়েছে। বাড়িতে থাকাবস্থায় নামাযরত অবস্থায় যদি বিপরিত লিঙ্গের কেউ একজন নামাযীর কাধ বরাবর দাড়ায়. তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...