আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
622 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
  1. যখন আমি কোন ধরনের কাজ করি তখন মাঝে মাঝে হঠাৎ করে মন থেকে বলে ওঠে  যে আমি নাকি কাফের হয়ে গেছি আমার দ্বারা এই নামাজ বাজি কোন আমল আমার দ্বারা বিফলে যাচ্ছেন অথবা আমি কোন কুফরী কাজ করছি কিনা এ ধরনের সন্দেহ ভিতরে এমনিতেই জাগ্রত হয় ? এগুলো জাগ্রত হলে কি করব ?

  2. হ্যান্ডশেক করার সুন্নত তরিকা  কি ? মুসাফা অর্থ কি

  3. কাউকে বাদশা বলে সম্বোধন করা অথবা কারো  নাম  বাদশা রাখা কি জায়েজ ?

  4. একটা ভিডিওর তো দেখেছিলাম যে গরম খাবার খাওয়ার সময় তিনি বলছেন যে  খাবার  ফু দেয়া নাকি উচিত নয় অথবা জায়েজ নেই তা ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন নবীজি  স: শিখিয়েছেন এটা কি সঠিক এটাকি কোন দলিল রয়েছে ?

  5. কোন ধরনের সময়  অথবা কোন ধরনের  যুগ আসার পর থেকে  আল্লাহ আর তওবা কবুল করবেন না অথবা দোয়া কবুল করবেন না ?

  6. অজু করার পর নামাজ আদায় করলাম তারপরে দেখলাম পায়ের লোকের একটা কোনায় ছোট্ট করে অল্পকিছু ময়লার মতো লেগে ছিল  তা পরিষ্কার করলাম এক্ষেত্রে আমার অজু কি হয় নাই  বলে রাখা ভালো আমার চামড়াতে প্রচুর ময়লা জমে   ঘষলেও সহজে সেগুলো যায় না সে ক্ষেত্রে আমি অজু আরো কিভাবে ভালোভাবে করতে পারি ?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

আপনার এ রকম কোনো চিন্তা আসলে,আপনি আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির-রাজিম পড়বেন।

মুসাফাহা এক হাত বা দুই হাত, যেকোনো ভাবে করা যায়।

বাদশা নাম রাখা বা সম্বোধন করা জায়েয।

জ্বী,খাবারে ফু দেয়া উচিৎ নয়।নবীজি সাঃ নিষেধ করেছেন।

প্রত্যেক মানুষের সকরাতুল মওত এর সময় দু'আ কবুল হবেনা।এবং সূর্য যে দিন পশ্চিম দিক থেকে উত্তোলিত হবে,সেদিন তাওবাহ কবুল হবে না।


ময়লা যদি এমন হয়,যা পানি শরীরে পৌছতে প্রতিবন্ধক হয়,তাহলে অজু হবে না।এবং নাসাযও হবে না।আর যদি প্রতিবন্ধক না হয়,তাহলে অজু হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 269 views
...