আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
আমার বাবা একজন কলেজের প্রভাষক কিন্তু তিনি বিভিন্ন কারণে ঋণে জর্জরিত হয়ে অনেক টাকা লোন নিয়েছেন এমত অবস্থায় লোন নিয়ে তিনি ব্যবসা বিনিয়োগ করেন কিছু টাকা এবং সেই ব্যবসার লভ্যাংশ ও ব্যাংকে জমা থাকার লোনের টাকার সাহায্যে তিনি সংসার চালান আমি উপার্জনে অক্ষম এবং অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত তাই আমি আল্লাহর কাছে আমার রোগ মুক্তি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করি আমার বাবার হারাম অর্থের জন্য কি আমার দোয়া কবুল হচ্ছে না?

আমি মন থেকে তার এসব কাজকে ঘৃণা করি এবং তাকে করতে অনুৎসাহিত করি এর ফলে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয় এখন তার এই হারাম ইনকামের জন্য কি আমার দোয়া কবুল হবে না?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি রোগাক্রান্ত এবং উপার্জন অক্ষম,তাই আপনি মনে মনে এ নিয়ত রাখবেন যে, যখনই আপনি বাবার সম্পত্তির ওয়ারিছ হবেন, তখনই তা সদকাহ করে দিবেন।এবং ভবিষ্যতে তাওফিক হলে,বর্তমানে বাবার সম্পত্তি থেকে যা কিছু গ্রহণ করছেন,সবটুকুই সদকাহ করে দিবেন। এমন নিয়ত থাকাবস্থায় বর্তমানে আপনি বাবার কাছ থেকে যা কিছু খাবেন বা গ্রহণ করবেন, এর জন্য আপনার দু'আ কবুল হতে কোনো বাধা নাই। ইনশা আল্লাহ আল্লাহ চাহে তো আপনার দু'আ কবুল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...