আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত উস্তাদ। প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী ৪ টি প্রশ্ন হয়ে যাওয়ার পরেও প্রশ্ন করার জন্য।

একজন মেয়ে:২১ বছর,দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী(১৯ বছরে) এক চোখ  অন্ধ বলা চলে এবং অন্য চোখেও অনেক কম দেখে।মহান আল্লাহ দয়া করে হেদায়েত দিয়েছেন,তারপর থেকেই পরিবরে নানা রকম জুলুমের স্বীকার হওয়া শুরু। মারধর,গালাগালি, রাগারাগি,বাড়ি থেকে বের করে দেয়া,বিয়ের জন্য ও অন্যান্য বিষয়ে বেশি কথা বলা ইত্যাদি।জোর করে বেদ্বীন পাত্রের সাথে বিয়ে দেয়া,পাত্রপক্ষের পুরুষের সামনে যাওয়ার জন্য মারধর করা ইত্যাদি এবং অবশেষে তাদের কাছে কিছু গোপন করে বিয়ে দেয়া।এখন নভেম্বরের ১৮ তারিখ মেয়েটির ডেলিভারি ডেট।

স্বামী:তখনের মধ্যে আর এখন আকাশ পাতাল তফাত।তারাও বেতনের কথা মিথ্যা বলে আর ছেলের অন্যান্য অনেক দোষ যেগুলোর জন্য মেয়েটিকে সাফার করতে এমন অনেককিছু লুকিয়েছে বিয়ের আগে।স্বামী আগে খারাপ ব্যবহার করতো না আস্তে আস্তে আচরণ পাল্টে গেছে,বলে যে অনেক ভালোবাসে,হয়তো বাসে।কিন্তু সে দ্বীনের পর দ্বীন জুলুম করেছে,স্ত্রীর ভরনপোষণ সম্পর্কে উদাসীন,স্ত্রীর সম্মান সম্পর্কেও উদাসীন এমনকি স্ত্রীর পোশাক সম্পর্কেও তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই,নতুন আসছে তার কিছু কেনা হয়নি একটা সুতাও না,সে স্ত্রীকে হারাম কাজ করার জন্য জুলুম করতো আর স্ত্রীকে অনেক নোংরা গালি দিত এমনকি চরিত্র নিয়ে অপবাদ দিয়েছে।স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে হয়েছে আংটি বন্ধক রেখে কারন স্ত্রী বাস থেকে নামার সময় পড়ে গিয়েছিল। স্ত্রীর সাথে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে অনলাইন পড়াশুনা বন্ধ,আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ ও বন্ধ এমনকি স্ত্রীকে মার সাথে পর্যন্ত কথা বলতে দেখলে অনেক গালি দিত।এরকম অনেক জুলুম আছেদ যেগুলোর ফিরিস্তি বলতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে।জুলুমের কারনে স্ত্রী বাবার বাড়ি গেছিল সেখান থেকে জোর করে ধরে নিয়ে আসছে স্ত্রীর মার সাথে বাবার অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে,নানির সাথে বাজে আচরণ করেছে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি যেতে দেয়না ইত্যাদি এত বলা সম্ভব নয়।তার কিছু ভালো দিক আছে সেগুলো অস্বীকার করা হচ্ছে না।ফোনে মেয়েদের সাথে চ্যাট করে।আজেবাজে জিনিস করে ইত্যাদি।

শশুর বাড়ির লোকজন:বউকে কেউ তেমন পছন্দ করে কারন দ্বীন পালনের চেষ্টা করে।পরিবার ও স্বামী অনেক ভাবে মানসিক জুলুম করেছে যেগুলো এমন পর্যায়ের যা মেয়েটি ভুলতে পারেনা হাজার চেষ্টা করেও। একপ্রকার মানসিক ট্রমার মধ্যে চলে গেছে অনেক দিন এমন গেছে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনি খেতে পারেনি নামজে পর্যন্ত ভুলে যায় এসব শুধুই মনে পড়ে। মেয়ের মা বাবা ছোট বোনকে পর্যন্ত অনেক বেশিকথা বলা হয়েছে,অপমান করা হয়েছে প্রচুর সারা পাড়ার কাছে মেয়ের নামে মিথা অপবাদ ছড়ানো হয়েছে ইত্যাদি।

তো এখন মেয়ে মা এসেছে অনেক কিছু নিয়ে বারন করার পরেও এমন অনেক কিছু আছে যেগুলো হারাম কিস্তির টাকা অনেক কষ্ট করে কিছুর টাকা পরিশোধ করেছে।কাল বাচ্চা নড়াচড়া খুব কম করার বাধ্য হয়ে বাধ্য হয়ে ডাক্তার এর কাছে যেতে হয়েছে স্বামীতো টাকা দেয়নি মা দেখিয়েছে তো মাকে মেয়ে জানিয়েছে কিস্তির টাকা দিয়ে দেখালে যাবেনা মার টাকা দিয়ে দেখালে যাবে তো মা জানিয়েছেন এগুলো তার জমানো টাকা তাই মেয়ে গিয়েছে কিন্তু পরে মেয়ের সন্দেহ হচ্ছে এগুলো কিস্তির টাকা।আবার মেয়ের মা বাজার ও করেছে সেই টাকার। এতোদিন মেয়ে কৌশলে মাকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছে কিন্তু কাল আর পারেনি,মেয়ের শশুর আবার মেয়ের মাকে কাল কথা শুনিয়েছে খাওয়া দাওয়া নিয়ে।এখন মেয়েটি ভয়ঙ্কর চাপের মধ্যে আছে, শারীরিক অসুস্থতা আবার মানসিক এই ভয়ঙ্কর অবস্থা আবার মেয়েটিকে ডেলিভারির সময় আবার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবে যেখানে পর্দার কোনো পরিবেশ নেই।
মেয়েটি প্রতিনিয়ত দুয়া করছে এবং হারাম থেকে বাচার চেষ্টা করছে,পরিস্থিতি খুবই কঠিন।

১.উস্তাদ এই অবস্থায় মেয়েটির করনীয় কি গরীব মানুষ এই হারাম টাকা পরিশোধ এর সামর্থ তার নেই (মেয়ের মা আরো টাকানদিবে ডেলিভারিরমসময় আবার বাজার করবে) স্বামীও দিবেনা মাকেও বোঝাতে পারছে না,এখন মেয়েটির কি আর কোনো ইবাদত কবুল হবে না।একটা নাকফুল ও কানের দুল আছে কিন্তু বিক্রি কারার অনুমতি নেই। মেয়েটি তো চাকরিও করেনা।
২: সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু পরামর্শ ও নসিহা দিন দয়া করে মেয়েটি ভালো নসিহা আশা করছে।মেয়েটির জন্য মন থেকে খাস করে দুয়া করবেন সম্মানিত উস্তাদ।
এই গর্ভাবস্থায়ও মেয়েটি উপর অনেক জুলুম করা হয়েছে, মেয়েটি স্বীকার করে যে তারও অনেক ভুল হয় অন্যায় হয় কিন্তু সে শোধরাবার ও মাফ চাওয়ার চেষ্টা করে।আবার তাদের ভালো কিছু দিকও রয়েছে।
জাঝাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
ago by (724,500 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।
(১)জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) :
এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)।
আল্লামা হামাওয়ী রাহ জরুরতের ব্যাখ্যা এভাবে করেন যে,
الضرورۃ بلوغہ حدا إن لم یتناول الممنوع ہلک أوقارب۔ (حموي علی ہامش الأشباہ، مطبع دیوبند ۱/ ۱۴۰، کراچی ۱/ ۱۱۹، مطبع زکریا دیوبند ۱/ ۲۵۲)
মর্মার্থঃ
জরুরত হল মানুষ এমন এক পর্যায়ে পৌছে যাওয়া যে, যদি সে নিষিদ্ধ জিনিষ সমূহ না করে, তাহলে সে ধ্বংস হয়ে যাবে বা ধ্বংসের নিকটবর্তী হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3283

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(২) মেয়েটি যেহেতু অসহায় কিছুই মেয়ের কাছে নেই, তাই মেয়ে তার মায়ের প্রদত্ত টাকায় চিকিৎসা করাতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(২) মেয়েটি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে। আল্লাহ মেয়েটিকে সাহায্য করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...